সীমান্তে বাংলাদেশিকে ‘নির্যাতনের পর বিএসএফের গুলি’, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সুকানি সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে এক গরু ব্যবসায়ীকে প্রথমে নির্যাতন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যরা। পরে তার পেটে গুলি করে ফেলে রেখে যায়। এ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান বলে অভিযোগ তার সহযোগীদের।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম সুজন রানা (৩০)। তিনি তেঁতুলিয়া উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য আইবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবার রাতে সুজনসহ আরও ৫-৬ জন গরু ব্যবসায়ী গরু আনতে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। মঙ্গলবার ভোরে মদনবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে সুজন ধরা পড়লেও তার সঙ্গীরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।

এ অবস্থায় সুজনকে বাংলাদেশ অংশে রেখে প্রথমে নির্যাতন করে বিএসএফ সদস্যরা। পরে তার পেটে গুলি করে ফেলে রেখে যায় বলে অভিযোগ করেন আইবুল ইসলাম।

তিনি জানান, বিএসএফ সদস্যরা চলে যাওয়ার পর সুজনের চিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসে। সেখান থেকে উদ্ধার করে সুজনকে প্রথমে রংপুর শহরের নিকটবর্তী একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

আজ বুধবার সকালে সুজনের স্বজনরা তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য তা পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

তেঁতুলিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, 'নিহতের পেটে গুলি লেগেছে। তার শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

মাগুরমারী বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার দারাজ উদ্দিন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, 'সুজনকে কোথায় গুলি করা হয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।'

এ বিষয়ে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আসাদুজ্জামান হাকিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সুজনকে কোথায় গুলি করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

3h ago