প্রশ্নপত্র ফাঁস: বুয়েট অধ্যাপক নিখিলকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ জানতে চান আদালত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে ২০২১ সালের নভেম্বরে ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ থেকে কেন এবং কীভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম আগামী ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আহমেদ গতকাল আদালতে হাজির হয়ে বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার অভিযোগ থেকে নিখিল ধরকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানান।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, নিখিল ধর দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে মুদ্রিত প্রশ্নপত্রের কোনো কপি পাননি। দেলোয়ার হোসেন তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ কথা জানান।

তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, তিনি অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যাচাই-বাছাই করে প্রশ্নফাঁস ঘটনায় অধ্যাপক নিখিল ধরের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ বা অভিযোগ পাননি।

গত বছরের ১৬ নভেম্বর দেলোয়ার হোসেনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনের ৪/৯/১৩ ধারায়  এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২২(২)/৩৩(২) ধারায় ১২ জনের বিরুদ্ধে ২টি চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অধ্যাপক নিখিলের নাম উঠে আসে।

ওই ঘটনার পর ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান পদ এবং পরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্ব থেকে নিখিল ধরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ৬ নভেম্বর ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ ব্যাংকার ও আহসানউল্লাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

তাদের মধ্যে দেলোয়ারসহ ৮ জন বিভিন্ন তারিখে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০২১ সালের ৬ নভেম্বর আহসানউল্লাহ্ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই উত্তরসহ প্রশ্নপত্রের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক তাৎক্ষণিক কোনো তদন্ত ছাড়াই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগটি উপেক্ষা করে।

পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের খবর প্রকাশিত হওয়ায় পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

$14b a year lost to capital flight during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

15h ago