ব্যাংক, আর্থিকখাত নিয়ে ‘গুজব’: ৪ ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে 'গুজব' ছড়ানোর অভিযোগে ৪ ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
তারা হলেন মো. সাইদ উল্লা, মো. মোশাররফ হোসেন, শহিদুল্লাহ মজুমদার ও ক্যাপ্টেন (অব.) হাবিবুর রহমান।
তাদের মধ্যে মো. সাইদ উল্লা ও শহিদুল্লাহ মজুমদার ইসলামী ব্যাংকের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত, ক্যাপ্টেন (অব.) হাবিবুর রহমান ব্যাংকটির নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা এবং মো. মোশাররফ হোসেন ব্যাংকটির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন, যিনি বর্তমানে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং চিফ রেমিট্যান্স অফিসার হিসেবে কর্মরত।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (উত্তর) সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবি কম্পাউন্ডে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ।
ডিবি প্রধান হারুন বলেন, 'সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যাংক সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রদান করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ান।'
তারা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করে তিনি বলেন, 'তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা। বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলা।'
এ ঘটনায় গত ৮ জানুয়ারি দুই কিশোরসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নুর উন নবী (৭০), মো. আফসার উদ্দিন রোমান, মো. আবু সাইদ সাজু (২১)। গ্রেপ্তার ২ কিশোরের বয়স ১৭ ও ১৫ বছর।
ডিবি প্রধান হারুন আরও বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে এ ঘটনায় জড়িত আরও ৪ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
এস আলম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গুলশান থানায় এ মামলা করেন।
চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এস আলম গ্রুপের এক কর্মকর্তার দায়ের করা আরেকটি মামলায় ২৭ ডিসেম্বর ১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Comments