আগারগাঁওয়ে ছাত্রলীগের হামলায় সরকারি কর্মচারী নিহত
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত যুবক ফিরোজ আহমেদ (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আজ রোববার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিরোজের মৃত্যু হয়।
ফিরোজের ছোট ভাই নুর আলম মিরাজ জানিয়েছেন, তার ভাই সমাজসেবা অধিদপ্তরের হিসাব সহকারী পদে চাকরি করতেন। তারা আগারগাঁওয়ের তালতলা পানির ট্যাংকের পাশে পিডব্লিউডি কোয়ার্টারে বসবাস করেন। গত রাতে স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়েছিলেন ফিরোজ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসায় ফেরার পথে বিজ্ঞান জাদুঘরের বিপরীত পাশে ২০ থেকে ২৫ জন ফিরোজকে ছুরিকঘাত ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
'আমরা জানতে পেরেছি তালহা, নাসির, রাজু, মুহিদ, নয়ন, লিমন, যথি, রানা, রাব্বি, আল-আমিন, ওবায়দুল, সোহাগ হামলা চালায়। তারা সবাই ছাত্রলীগ করে,' বলেন মিরাজ।
তিনি আরও জানান, হামলা তথ্য পেয়ে ফিরোজকে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তবে কী কারণে ফিরোজের ওপর হামলা হয়েছে তা জানাতে পারেননি মিরাজ।
হামলায় সাকিব হোসেন (২২) নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। সাকিব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দালে এ ঘটনা ঘটেছে। আমার বন্ধু ফিরোজ ২৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মুরাদ হোসেনের অনুসারী। গত রাতে শেরেবাংলা নগর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান তার ১৫-২০ জন অনুসারীকে নিয়ে মুরাদের বাসায় হানা দেন। এর আগেই মুরাদ বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান। রাত ৩টার দিকে আমি ও ফিরোজসহ কয়েকজন মুরাদকে বাসায় রেখে ফিরছিলাম। সে সময় নাজমুল ও তার অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
নাজমুল ও মুরাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ওই যুবকের শরীরে একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, রাতে একটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে আমাদের টিম কাজ করছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'ওই ঘটনায় আমরা কিছু নাম পেয়েছি। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো।'
Comments