এএসপি শিপনের মৃত্যু: ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ বিষয়ে বাদীকে আদালতে তলব
পুলিশের এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গ্রহণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে মতামত জানাতে আগামী বছরের ২৬ জানুয়ারি অভিযোগকারীকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যু হয়।
আদাবর থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের মধ্যে আছেন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড হসপিটালের (এনআইএমএইচ) রেজিস্ট্রার ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক এ কে এম নাসির উল্লাহ গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
অন্য ১৪ জন আসামি হলেন- হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না, ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন (২), সাখাওয়াত হোসেন রেমন, সাজ্জাদ আমিন, মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, সমন্বয়ক রেদওয়ান সাব্বির সজিব, বাবুর্চি মাসুদ খান, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, সাইফুল ইসলাম পলাশ, সিকিউরিটি গার্ড লিটন আহম্মেদ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান।
তাদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন গ্রেপ্তার এড়াতে বিদেশে গেছেন। বাকি ১৪ জন জামিনে আছেন।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মামলার আইও ডা. নুসরাতের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে।
মারা যাওয়ায় আরেক আসামি ড. নিয়াজ মোর্শেদের নামও চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়।
এএসপি আনিসুল করিম শিপনকে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড ডি-অ্যাডিকশন হাসপাতালে নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া ওঠে।
শিপনের মৃত্যুর পর তার বাবা ফয়জউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে হাসপাতালের ৫ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে আসামি করে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চলতি বছরের ৯ মার্চ আদাবর থানার পরিদর্শক ফারুক মোল্লা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড হসপিটালের (এনআইএমএইচ) রেজিস্ট্রার ড. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তবে শিপনের বাবা একটি অনাস্থা আবেদন দায়ের করে বলেন, সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও আইও এফআইআর-এ নাম থাকা আসামি ড. নুসরাতকে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করেনি। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন ঢাকার আরেকটি আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।
Comments