বাড়ি ফিরেছেন টেকনাফ থেকে অপহৃত ৮ জন

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পাহাড়ি এলাকা থেকে অপহরণের শিকার স্থানীয় ৮ বাসিন্দা আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকে বাড়ি ফিরেছেন।

স্থানীয়দের দাবি, অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে নির্ধারিত অংকের মুক্তিপণ দেওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে তাদের পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

টেকনাফ থানার আওতাধীন বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মশিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বুধবার দিবাগত রাতে অপহরণকারীরা ৮ জনকে ছেড়ে দেয়। এদের আজ বৃহস্পতিবার সকালে তদন্তকেন্দ্রে আনা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

তবে মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কিনা- সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।

অপহরণের শিকার করিমুল্লাহ ও নুরুল মোস্তফার ভাই মোহাম্মদ আলী বলেন, 'অপহরণকারীরা সবার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। এতে ২ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

গত রোববার বিকেলে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার পাহাড়ের ভেতর একটি জলাধারে  মাছ ধরতে গেলে অস্ত্রধারীরা স্হানীয় এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ ৮ তরুণ-যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই ৮ জন একই গ্রামের বাসিন্দা ও সম্পর্কে নিকটাত্মীয়।

অপহৃত হওয়ার পর অপহরণকারীরা তাদের স্বজনদের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। এই ৮ জন হলেন- আবছার উদ্দিন (২২), নুরুল মোস্তাফা (৩৪), করিমুল্লাহ (২০) নুর মোহাম্মদ (২৪), মোহাম্মদ উল্লাহ (৩৮), সেলিম উল্লাহ (৩২), রিদুওয়ান (১৮) ও নুরুল হক (৫২)।

এ ঘটনায় অপহৃত করিমুল্লাহর ভাই মোহাম্মদ হাবীব বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam threatens int'l legal action against govt over asset freezing: FT

Alam says his family's bank accounts were frozen, they were subjected to travel bans, and they lost control of their companies, all while facing investigations for alleged money laundering without formal notification.

53m ago