নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: মামলায় আসামি বিএনপির ৪৭৩ নেতাকর্মী, অজ্ঞাতনামা ১৫০০

নয়াপল্টনে বিএনপি
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকছে পুলিশের একটি দল। ৭ ডিসেম্বর ২০২২। ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

নয়াপল্টনে গতকাল বুধবার বিএনপি নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় বিএনপির ১ হাজার ৯০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ৪৭৩ জনের নামে এবং অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার ৪৭৩ জনের মধ্যে ৪৫০ জনকে আদালতে তোলা হয়েছে এবং ৭ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।

মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ ঘটনায় ৩টি মামলা হবে। মামলার একটি পল্টনে, একটি মতিঝিলে এবং অপরটি শাহজাহানপুর থানায় হবে।

গতকাল বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ। এ ঘটনায় বিএনপির ১ জন নিহত এবং কয়েকশ জন আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে গতকাল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'আজকের পুলিশি সন্ত্রাসে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন। অনেকে চিকিৎসাধীন আছেন। সর্বশেষ জানতে পেরেছি এখন পর্যন্ত আমাদের একজন নেতা মারা গেছেন। আরও অন্তত একজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।'

'আশঙ্কাজনক আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। পুলিশের আকস্মিক বর্বরোচিত আক্রমণে আমরা এখনো সম্পূর্ণ তথ্য পাইনি। আহতদের খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি,' বলেন তিনি।

গতকাল বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। এই নেতারা ছাড়াও বিএনপির ২ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Poll irregularities: Sedition among 3 new charges added against three ex-CECs

BNP filed a case against 24 individuals, including three former chief election commissioners, 10 election commissioners, and top government and police officials, for their alleged role in irregularities and biasness during the national elections in 2014, 2018, and 2024.

12m ago