মেরুল বাড্ডায় ছুরিকাঘাতে এইচএসসি পরীক্ষার্থী নিহত, আহত ২

গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া

রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকায় ছুরিকাঘাতে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও ২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

আজ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিআইটি প্রজেক্ট ১৩ নম্বর রোডে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। 

নিহত আশফাকুর রহমান চৌধুরী সাতিলের (১৮) বাসা ডিআইটি প্রজেক্টের ১১ নম্বর রোডে। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার দোহারে। তিনি এ বছর বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন।

আহতরা হলেন-সোয়াইব হোসেন (১৮) ও রুপম দত্ত (১৮)। তারা দুজন তেজগাঁও পলিটেকনিকের ৪র্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাড়ে ৯টার দিকে সাতিলকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইনস্পেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নিহতের বাম পায়ের রানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, সোয়াইবের বুকেসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ছুরিকাঘাত আছে। জরুরি বিভাগে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সায়েম সিকদার ডেইলি স্টারকে জানান, সন্ধ্যার পর চিৎকার শুনে তারা ১৩ নম্বর রোডে গিয়ে দেখেন সাতিল ও সোয়াইব রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তখন সেখান থেকে দ্রুত তাদেরকে স্থানীয় এশিয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুপম দত্ত ডেইলি স্টারকে বলেন, দুই দিন আগে ১৩ নম্বর রোডে রকি তাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে, সে তার সঙ্গে "তুই" সম্বোধন করে কথা বলে কেন। আজ সন্ধ্যার পর তারা ৩ জন যখন আড্ডা শেষে বাসায় ফিরছিলেন, তখন ১৩ নম্বর রোডে দাঁড়িয়ে থাকা রকি রুপমকে মারধর শুরু করে।

তিনি জানান, এ ঘটনা দেখে সোয়াইব ও সাতিল তাকে রকির হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। এতে তাদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর রকি তাদের ছুরিকাঘাত করে দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Admin officers protest plan for more non-admin deputy secretaries

Non-admin officers announce strike tomorrow, demanding exam-based promotions

1h ago