৪৭২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: বিপিসি-সিএজিকে ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির ৪৭২ কোটি টাকার অনিয়মের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থার বিষয়ে আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে বিপিসি ও সিএজিকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিপিসির আইনজীবী মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এবং মো. আবদুস সামাদ আজাদ আজ আদালতে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন।
এতে বলা হয়, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েলের আর্থিক অসঙ্গতি তদন্ত করতে ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
হাইকোর্ট কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয় বিপিসিকে।
আইনজীবীরা জানান, তদন্ত কমিটি ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট বিপিসি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্তে ৮০ কোটি টাকার অনিয়মের সঙ্গে এশিয়াটিক অয়েলের ৫ পরিচালকের অন্যতম ও ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যায়।
বিপিসির আইনজীবী হাইকোর্টকে বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এরপর মঈনুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দেয়।
আদালত অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিপিসিকে সংশ্লিষ্ট সব নথি দুদককে দিতে নির্দেশ দেন।
একই বেঞ্চ গত ৪ নভেম্বর দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সুয়োমটো রুল দিয়েছিলেন। প্রকাশিত সংবাদটির শিরোনাম ছিল '৪৭২.৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান'।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।
Comments