বিরোধের জেরে এক ব্যক্তির ২ হাতের কবজি কেটে নিলো দুর্বৃত্তরা

কক্সবাজার
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজারের টেকনাফে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সিদ্দিক আহম্মদ (৫৫) নামে এক ব্যক্তির দুই হাতের কব্জি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

পরিবারের অভিযোগ, হামলাকারীরা এলাকাইর চিহ্নিত ইয়াবা চোরাকারবারী।

আজ শনিবার বেলা দুইটার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

আহত ছিদ্দিক আহম্মদ একই এলাকার মৃত নজির আহমদের ছেলে।

সিদ্দিক আহম্মদের পরিবার জানায়, জায়গা জমি ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে আজ সিদ্দিক আহম্মদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীরা তার দুই হাতের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য এনামুল হকের নেতৃত্বে চাঁদ মিয়া, সাহেব মিয়াসহ একদল চিহ্নিত ইয়াবাকারবারী দা, কিরিচ, অস্ত্রসহ গাড়ি নিয়ে এসে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। কেটে নেওয়া হাত নিয়ে উল্লাস করে তারা।  

পরে গ্রামবাসী সিদ্দিক আহম্মদকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

অভিযোগের বিষয়ে এনামুল হকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত এনামুল হক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা চোরাকারবারি এবং পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন মাদক চোরাকারবারির একজন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুই বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাছিম ইকবাল বলেন, 'দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনেরা। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। সিদ্দিক নামে এক ব্যক্তির দুই হাতের কব্জি কর্তন করেছে তার প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এই ঘটনা কী কারণে ঘটেছে তা তদন্ত করছে পুলিশ। এখনো মামলা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Sweeping changes in constitution

Expanding the fundamental rights to include food, clothing, shelter, education, internet and vote, the Constitution Reform Commission proposes to replace nationalism, socialism and secularism with equality, human dignity, social justice and pluralism as fundamental principles of state policy.

50m ago