সাবেক এমপি বদির বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলির অভিযোগ
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিরোধের জেরে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলমকে লক্ষ্য করে গুলির অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের মহেশখালী পাড়া এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গুলির ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে টেকনাফ থানায় জিডি করেছেন নুরুল আলম।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি জিডির তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলম এবারও উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে চেয়ারম্যান পদে সাবেক এমপি বদির পছন্দের প্রার্থী জাফর আলম।
স্থানীয় রাজনীতিতে নুরুল আলম বদির প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত এবং জাফর আলম বদির অনুসারী।
যোগাযোগ করা হলে নুরুল আলম আজ শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বৃহস্পতিবার রাতে তিনি হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়ন যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যাই। হঠাৎ সাবেক এমপি বদি তার স্ত্রী কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য শাহীন আক্তারের স্টিকার সম্বলিত একটি সাদা গাড়িতে সেখানে এসে আমাকে লক্ষ্য করে পরপর দুই রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন।'
বুলেট তার শরীরে অবশ্য আঘাত করেনি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ সেখানে পৌঁছালে তিনি নিরাপদে ফিরে আসেন বলে জানান নুরুল আলম।
এ সময় বদির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর আলম ছিলেন বলে উল্লেখ করেন নুরুল।
পরে রাতে তিনি বদি ও জাফরকে আসামি করে টেকনাফ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডিতে তিনি অভিযোগ করেন, বদিসহ অন্যরা তার ওপর হামলা চালায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তিনি গুলির তথ্য অবশ্য উল্লেখ করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবদুর রহমান বদিকে ফোন করা হলেও, তিনি রিসিভ করেননি।
চেয়ারম্যান প্রার্থী জাফর সাংবাদিকদের বলেন, 'ওই এলাকায় আমাদের এক সমর্থককে অপহরণ করা হয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করতে আমরা সবাই ওই এলাকায় যাই। এখন নুরুল আলম দাবি করছেন, আমরা গিয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করেছি।'
ওসি ওসমান গনি বলেন, 'গুলির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিতের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযোগের তদন্ত করা হবে।'
আব্দুর রহমান বদি নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে কক্সবাজার-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে বদি অংশ নিতে পারেননি। তবে এ দুই নির্বাচনে তার স্ত্রী শাহীন আক্তার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মাদক চোরাকারবারের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় বদির নাম আছে। ওই তালিকায় গডফাদার হিসেবে বদির চার ভাইসহ পরিবারের অন্তত ২৬ জনের নাম আছে।
Comments