ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম
অনুমতি ছাড়া ফেনীর মাদ্রাসাশিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্যের ভিডিও ধারণ ও প্রচারের অভিযোগে দায়ের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার হাইকোর্ট তাকে ১ বছরের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন।
এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল মোয়াজ্জেমকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনের প্রেক্ষিতে মোয়াজ্জেমকে জামিন দেন।
তিনি বলেন, এ মামলায় মোয়াজ্জেম সাড়ে ৩ বছর ধরে হেফাজতে আছেন বিবেচনায় হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে দায়ের করা যৌন নিপীড়নের মামলা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করায় ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠে। ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
একই দিনে মোয়াজ্জেমকে ওসি পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। কারণ নুসরাতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, তিনি তাদের সহযোগিতা করছেন না। নুসরাত হত্যাকাণ্ডে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ৮ মে মোয়াজ্জেমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ওসি মোয়াজ্জেম নুসরাতকে অপমানজনক প্রশ্ন করছেন- এমন একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে দেশজুড়ে তার ব্যাপক সমালোচনা হয়।
২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর আদালত পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
পিবিআই ঘটনার সঙ্গে মোয়াজ্জেমের সম্পৃক্ততা খুঁজে পায় এবং ২০১৯ সালের ২৭ মে তারিখে প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
পরে একই বছরের ১৬ জুন এ মামলায় মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Comments