খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনার সোনাডাঙ্গা বিহারী কলোনি এলাকায় এক শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়া, অপ্রাপ্তবয়স্ক আরও ৪ জনকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আ. ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন।
বিচারিক আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস, শেখ শাহাদাত হোসেন, মো. রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম ও মো. মিম হোসেন। এদের মধ্যে মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস, শেখ শাহাদাত হোসেন ও কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম পলাতক। বাকি ৩ জন রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদের সবারই বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
ঘটনার সময় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করায় পর্নোগ্রাফি আইনে আসামি নুরুন্নবী আহমেদকে মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ৪ আসামি প্রাপ্তবয়স্ক নয়। তাদেরকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর পর্যন্ত হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, 'এই মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৯টি আলামত উদ্ধার করেছিল। এ ছাড়া, ১০ জনের মধ্যে ৫ আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। ডিএনএ টেস্টেও ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আদালত সন্দেহাতীতভাবে ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় রায় প্রদান করেছেন। আশা করি উচ্চ আদালতেও রায় বহাল থাকবে।'
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ জুন সোনাডাঙ্গা বিহারী কলোনি এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে ওই শিশুকে ধর্ষণ করেন আসামিরা। সেদিন রাতেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরদিন তার বড় বোন বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
Comments