শুল্কমুক্ত সুবিধা অপব্যবহার, চট্টগ্রামে ১০৭ টন কাপড় জব্দ

চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার একটি গুদাম থেকে এসব কাপড় জব্দ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করার পর খোলাবাজারে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে ১০৭ টন কাপড় জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি)।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার একটি গুদাম থেকে এসব কাপড় জব্দ করা হয়। 

শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, এসব পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।

সিআইআইডি জানায়, সাভারভিত্তিক শতভাগ রপ্তানিমুখী চীনা প্রতিষ্ঠান গোল্ডটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড চলতি মাসের শুরুতে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকার পণ্য আমদানি করে। আমদানিকারকরা রপ্তানিমুখী কোম্পানি হিসেবে বন্ডের আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য আমদানি করে আসছে। 

তবে প্রতিষ্ঠানটি নিজের বন্ডেড গুদামের পরিবর্তে খোলাবাজারে বিক্রির জন্য চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার একটি গুদামে পণ্যগুলো মজুদ করে বলে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এসব পণ্য খোলাবাজারে বিক্রির চেষ্টা হচ্ছিল। ছবি: সংগৃহীত

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফকরুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটি বন্ডেড সুবিধার পণ্য কারখানায় না নিয়ে তা অবৈধভাবে খোলাবাজারে বিক্রি করে আসছিল। চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার একটি গুদাম থেকে ১০৭ টন বন্ডেড পণ্য পাওয়া যায় যা খোলাবাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ।'

রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান হওয়ায় আমদানিকারক অন্তত ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা শুল্ককর ছাড় পেয়েছিল বলে জানান তিনি। 

সংস্থাটির চট্টগ্রাম কার্যালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশীর আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রপ্তানি উৎসাহিত করতে এসব পণ্য আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু অসাধু রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তা খোলা বাজারে বিক্রি করায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি আমদানিকারকদের জন্য অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'প্রতিষ্ঠানটির অতীতের সব আমদানি-রপ্তানির নথি পর্যবেক্ষণ করা হবে। একই ধরণের অনিয়ম পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার পাশাপাশি অর্থপাচার মামলাও করা হবে।'

আমদানিকৃত এসব পণ্য বন্দর থেকে খালাসে আমদানিকারকের প্রতিনিধি ছিল স্পিডওয়ে লজিস্টিক। প্রতিষ্ঠানটির মালিক এবং যে ওয়্যারহাউজ থেকে এসব পণ্য জব্দ করা হয়েছে ওই ওয়্যারহাউজের মালিক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খসরুল আলম আকন।

তার আমদানি- রপ্তানি কার্যক্রম তদারকি করা হবে বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দারা।

যোগাযোগ করা হলে খসরুল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বিষয়ে আমরা এখনো কিছু জানি না। বিষয়টি জেনে পরবর্তীতে বলতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago