ফরিদপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে আহত
ফরিদপুরে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ (৪৩) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর শহরের ভাটিলক্ষীপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত মিরাজুলকে প্রথমে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে আজ শুক্রবার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মিরাজুল শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকার মৃত আকবর আলী ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ঠিকাদারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
মিরাজুলকে ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহপ্রশিক্ষণ ও কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মজুমদার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্যক্তিগত কাজ শেষে মোটরসাইকেলে করে ভাটিলক্ষীপুরে নিজের বাড়িতে যাচ্ছিলেন মিরাজ। বাড়ির সামনে গেটের সড়কে আসার পর ২৫-২৬ বছর বয়সী ২ তরুণ তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এনামুল হক জানান, মিরাজুলের ডান হাত, পেট ও ডান পায়ের হাঁটুতে আঘাত করা রয়েছে । তবে, ডান হাতের আঘাত মারাত্মক। মধ্যমা ও তর্জনীর মাঝের আঘাতটি বেশি গুরুতর।
তিনি বলেন, তাকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ফরিদপুর পৌরসভার কাউন্সিলর এম এ জলিল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিরাজুল স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন। তিনি এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা বিষয়টি ভালো নজরে দেখেনি বলে তার ওপর হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।'
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'এলাকায় আধিপত্য, মাদক বা অন্য কোনো বিষয় এ হামলার পেছনে আছে কি না তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।'
Comments