পুলিশকে কামড়ে দিলো স্বজন, হ্যান্ডকাফসহ পালালো আসামি

নোয়াখালী
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে হ্যান্ডকাফসহ এক মাদক মামলার আসামি পুলিশের কাছ থেকে পালিয়েছে। ওই আসামির এক স্বজন পুলিশ সদস্যের হাতে কামড়ে দিলে আসামি সেই সুযোগে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান।

আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত আসামি ইসমাইল হোসেন বয়াতি (৪৫) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামাইয়ের টেক এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মাদক বিক্রির খবর পেয়ে এএসআই রবিউলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জামাইয়েরক টেক এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে গাঁজাসহ মাদক চোরাকারবারি ইসমাইল হোসেন বয়াতিকে আটক করে হ্যান্ডকাফ পরায় পুলিশ। 

তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার পরিবারের কয়েকজন নারী ও পুরুষ সেখানে উপস্থিত হন। আসামিকে নিয়ে পুলিশ সদস্যরা থানায় নেওয়ার সময় এক নারী পুলিশের হাতে কামড় দেয়। এ সময় আসামি ইসমাইল হোসেন  বয়াতি হ্যান্ডকাফসহ পালিয়ে যান।

এ ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ইসমাইলের মামা মোশারেফ (১৯), সৌরভ (২৪), মামাতো ভাই কালা (১৯) ও প্রতিবেশী ইমনসহ (২৪) কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

তবে বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত মাদক চোরাকারবারি ইসমাইল ও তার পরিবারের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, কামড়ে আহত কোম্পানীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. রবিউল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানতে চাইলে এএসআই মো. রবিউল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাস্থলে আমরা ৪-৫ জন পুলিশ ছিলাম। ঘটনার আকস্মিকতায় আমরা কিছু করতে পারিনি।'  

ওসি মো. সাদেকুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পলাতক ইসমাইল বয়াতিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা আছে।' 
খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) একরামুল হাসান কোম্পানীগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পলাতক মাদক চোরাকারবারিকে ধরতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago