শিহাব হত্যা মামলা: ৪ শিক্ষক ৩ দিনের রিমান্ডে

শিক্ষক
গ্রেপ্তার সৃষ্টি একাডেমির ৪ শিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিহাব মিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সৃষ্টি একাডেমির ৪ আবাসিক শিক্ষকের প্রত্যেককে ৩ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামছুল আলম এ আদেশ দেন।

এই ৪ শিক্ষক হলেন-বিপ্লব (৩০), আশরাফ (৩০), মাসুম (৪০) ও বিজন (৪০)।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরিফ ফয়সাল ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদনের শুনানির জন্য এই চার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করেন।

এর আগে, গত ৩০ জুন এই চার অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করেন। উচ্চ আদালত তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে পরবর্তী ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। 

ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এই ৪ শিক্ষক গত ১০ আগস্ট টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে, আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।

এদিকে শিহাব হত্যা মামলার তদন্তে টাঙ্গাইল সদর পুলিশের অগ্রগতি না থাকায়, বাদী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ জুলাই মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। 

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে শিহাব মিয়ার মরদেহ গত ২০ জুন শহরের সুপারিবাগান এলাকায় সৃষ্টি স্কুলের হোস্টেলের সাততলা থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার বিচারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিক্ষোভে উত্তাল হয় টাঙ্গাইল শহর।   

মরদেহের ময়না তদন্ত রিপোর্টে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

২৬ জুন শিহাবের মা আসমা আক্তার সৃষ্টি স্কুলের ছয় আবাসিক শিক্ষককে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।    

পুলিশ সেদিনই মামলার প্রধান আসামি আবু বক্করকে গ্রেপ্তার করে। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। 

মামলার অপর এক আসামি আব্দুল মতিন ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন। 

 

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

8h ago