ছেলে হত্যার বিচারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান শিহাবের বাবা

সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে কথা বলছেন নিহত শিক্ষার্থী শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন। ছবি: মির্জা শাকিল/স্টার

'এখানে অনেক টাকার খেলা চলছে, পায়তারা চলছে যেন বিচার না পাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি তো দেশের সব শিশুর মা। আপনি দেশেরও মা। আপনার কাছে আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই,' বলছিলেন টাঙ্গাইলের সৃষ্টি স্কুলের নিহত পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শিহাবের পিতা ইলিয়াস হোসেন।

আজ বুধবার শিহাব হত্যার প্রতিবাদে শিহাবের নিজ এলাকা সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে তিনি এ আবেদন জানান।

যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে আয়োজিত এই প্রতিবাদ সমাবেশে এলাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতশত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা অংশ নেন।

প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শিহাব হত্যার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশে স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা অংশ নেন। ছবি: মির্জা শাকিল/স্টার

সৃষ্টি শিক্ষা পরিবারের প্রধান ও প্রভাবশালী মালিকদের বাইরে রেখে তদন্তের ন্যায্যতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারা।

অভিভাবকদের আবেগ ও শিক্ষাকে পুঁজি করে সৃষ্টির মতো বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা নিয়মনীতি মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে তা খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিবাদকারীরা।

গত ২০ জুন সৃষ্টি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর আবাসিক শিক্ষার্থী শিহাবকে ছাত্রাবাসে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, শিহাব বাথরুমে গলায় ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। 
অপরদিকে শিহাবের পরিবার এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করে।

পরে গত রবিবার ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা যায় শিহাবকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

পরে গত সোমবার নিহত শিহাবের মা আসমা আক্তার ওই স্কুলের মোট ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'মামলায় সৃষ্টি স্কুলের আবাসিক শাখার এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

3h ago