মালেকা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড

‘শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত, রাজউক-ফায়ার সেফটি সনদ নেই ভবনটির’

ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বঙ্গবাজার এলাকায় মালেকা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত শর্ট সার্কিট থেকে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

আজ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের লেফটেনেন্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'বরিশাল প্লাজার পাশে বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের ভেতর দিয়ে মালেকা মার্কেটে আগুন লেগেছিল। ভবনটি ৬ তলা, এর ৪ তলায় গোডাউনে আগুন ধরেছিল। আমরা যখন জানতে পারলাম, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় মানুষ বসবাস করেন তখনই ব্রিদিং অ্যাপারেটাস পরে আমাদের ফায়ার ফাইটাররা ভেতরে চলে গেছেন। জায়গাটা খুবই সংকীর্ণ, খুবই ক্রিটিক্যাল প্লেস—ভেতরে ঢুকে ফায়ার ফাইটিং করাটা খুব কঠিন ছিল। যাই হোক, আমরা নির্বাপন করতে পেরেছি, ১ ঘণ্টারও কম সময় লেগেছে, ১০টি ইউনিট কাজ করেছে।'

'এখন আমরা মালামাল সব সরিয়ে ফেলছি। আগুনের উৎসব এখনো জানা যায়নি, তবে প্রাথমিক ধারণা এটি শর্ট সার্কিট থেকে হতে পারে। কারণ গোডাউনের ভেতরে আমরা দেখতে পেয়েছি, বৈদ্যুতিক তারের কিছু অসামঞ্জস্যতা রয়েছে। ওখান থেকে শর্ট সার্কিট হতে পারে। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত করে জানাতে পারব কীভাবে আগুনটা লেগেছে এখানে,' বলেন তিনি।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, 'রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক), আমাদের ফায়ার সেফটি লাইসেন্স কোনোটিই ছিল না এই ভবনের। আমরা এই ভবন এবং আশে পাশের ভবন মালিকদের ডেকেছিলাম, ব্যবসায়ী নেতারা ছিলেন; আমরা বলেছি, এখানে আমরা অ্যাসেস করে দেখতে চাই আশে পাশের ভবনগুলো কী অবস্থায় আছে। যেহেতু একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে।'

'আমরা দেখব তারা কতটা ঝুঁকিতে আছেন। তার পরে তারা (ব্যবসায়ী) কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। আমরা এটা শিগগির করছি। আমরা যেটা বুঝেছি, অন্যান্য মার্কেটের এই একই অবস্থা। বঙ্গ বাজার, বঙ্গ ইসলামিয়া, বরিশাল প্লাজার মতোই সমস্যা,' যোগ করেন তিনি।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, 'আমাদের অ্যাসেস করার সুযোগ দেন। তারপর আপনারা ব্যবসা-বাণিজ্য চালান। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করছি না কিন্তু সমস্যাগুলো দেখতে চাচ্ছি। যেহেতু অল্প দিনের ব্যবধানে একের পর এক আগুন ধরছে তাই আমরা চেক করব।'

Comments

The Daily Star  | English

Manu Mia, who dug thousands of graves without pay, passes away

He had been digging graves for 50 years and never accepted any payment for his service

1h ago