গুলিস্তানে বিস্ফোরণ

ইটের নিচে চাপা পড়ে ছিল দুই মরদেহ

ভবনের ভেতরে আজ উদ্ধার অভিযান শুরুর পর দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছবি: আরাফাত রহমান/স্টার

রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৫টার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। 

মরদেহ দুটি ওই ভবনের আনিকা এজেন্সির মালিক মোমিন উদ্দিন সুমন (৪৮) ও কর্মচারী রবিন হোসেনের (২০)।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ধ্বংসস্তুপে অনেক মাটি ছিল। আমরা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। মরদেহ দুটির উপর প্রচুর ইটসহ মালামাল পড়ে ছিল। আস্তে আস্তে এসব সরিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহ দুটি নেওয়া হলে তাদের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করে।

পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল বিকেলে বিস্ফোরণের সময় ওই দুজন দোকানেই ছিলেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।

বিকেল ৫টার দিকে দুটি অ্যাম্বুলেন্সে সুমন ও রবিনের মরদেহ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রবিনের মরদেহ শনাক্ত করেন তার বড় ভাই শাহাদত হোসেন। তিনি জানান, রবিন আনিকা এজেন্সির স্যানিটারি দোকানের কর্মচারী ছিলেন। তাদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া গ্রামে।

দোকান মালিক মোমিন উদ্দিন সুমনের মরদেহ শনাক্ত করেন তার খালাতো ভাই মো. রাসেল। তিনি বলেন, সুমন বংশাল নর্থসাউথ রোডের মালিটোলা এলাকায় নিজ বাসায় থাকতেন। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে।

এ নিয়ে এ বিস্ফোরণের ঘটনায় মোট ১৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। 

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, 'আমরা তিন জন নিখোঁজের খবর পেয়ে দুজনকে উদ্ধার করেছি। বাকি একজনের ব্যাপারে আরও যাচাইবাছাই করব। আমরা এখন পরিকল্পনা করে পরবর্তী কাজ শুরু করব।'

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ভবনের ভেতরে আরও মরদেহ আছে কি না, এ ব্যাপারে আরও যাচাই বাছাই করে পরিকল্পনা করে কাজ শুরু করা হবে। রাজউক ভবনটিকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। আমরা এরপরও সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করেছি। ভেতর থেকে মালামাল বাইরে এনে কাজ করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

2h ago