কোথায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণে ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও অন্তত ১০০ জন আহত হলেও সেখানে সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কোনো কর্মকর্তাকেই এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। যদিও ঘটনাস্থল থেকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দূরত্ব অল্প। এ ঘটনায় রাজউক, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি করা হয়েছে। তবে, রাজউক ও সিটি করপোরেশনের কেউ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে না পৌঁছানোয় উদ্ধারকাজ শুরু করতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস।
গত রোববার সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনার পরেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম চোখে পড়েনি। পরে অবশ্য তারা গিয়ে ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ব্যানার টানিয়ে দিয়েছিল।
প্রশ্ন এসেছে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কি আছে? থাকলে তারা কোথায়? এ ধরনের দুর্ঘটনার পর তাদের ভূমিকা কী?
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ ও নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মতে, এ ধরনের ঘটনায় সিটি করপোরেশনের অবশ্যই মাঠে থেকে সমন্বয়ে তৎপর ভূমিকা পালন করা উচিত।
ড. তোফায়েল আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রথমে দেখতে হবে, এখানে দায়িত্বটা কার। যদি গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়ে থাকে, তাহলে গ্যাস কোম্পানি কোনটা? যে কোম্পানির গ্যাস, প্রাথমিক দায়িত্ব তাদের। তিতাসের লাইন হলে প্রাথমিক দায়িত্ব তাদের। তবে সিটি করপোরেশনও যাবে। যদিও বড় ধরনের টেকনিক্যাল সামর্থ্য সিটি করপোরেশনের নেই, তবে তাদের খোঁজ-খবর নিতে হবে। পুরো বিষয়টি তাদের সমন্বয় করতে হবে। তারা থাকবে না কেন? তাদের না থাকার সুযোগ নেই।'
'ঘটনার পর পুরো কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের একটা কো-অর্ডিনেটিং রোল থাকবে। তাদের ঘটনাস্থলে যাওয়া উচিত এবং পুরো বিষয়টি সমন্বয় করা উচিত। ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য কে কী করবে, সেটা তো তারাই সমন্বয় করবে', যোগ করেন তিনি।
নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কেন গেল না, এখনো কেন যাচ্ছে না, একই প্রশ্ন আমারও। শহরে কোনো ঘটনা ঘটলে সবার আগে তাদেরই এগিয়ে যাওয়ার কথা। তারা না গিয়ে থাকলে সেটা ব্যতিক্রম ও দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনায় তাদের উপস্থিতি ও কর্মব্যস্ততা থাকার কথা। তাদের না থাকাটা অস্বাভাবিক।'
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র মো. আবু নাছেরের নম্বরে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে ২ বার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠালে তিনি সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। জনসংযোগ কর্মকর্তার নম্বরে আবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
Comments