ঢামেক র‍্যাপিড রেসপন্স টিম সফলভাবে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে: পরিচালক

ঢামেকের ফটক। ছবি: প্রবীর দাস/স্টার
ঢামেকের ফটক। ছবি: প্রবীর দাস/স্টার

গতকাল গুলিস্তানের একটি ভবনে বিস্ফোরণের পর হতাহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) আনার পর র‍্যাপিড রেসপন্স দল বীরত্বপূর্ণ উদ্যোগ দেখিয়েছে।

৫০ সদস্যের দলটিতে রয়েছে ডাক্তার, নার্স ও ওয়ার্ড বয়। যেকোনো দুর্যোগ পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য এ দলটি গঠন করা হয়।

ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ডেইলি স্টারকে জানান, বিস্ফোরণের পর অন্তত ১২০ ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।

'র‍্যাপিড রেসপন্স দল সাফল্যের সঙ্গে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে এবং যাদের আরও চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদেরকে প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিভাগে স্থানান্তর করেছে', যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, ৫০ সদস্যের দলটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে সংযুক্ত। যখনই কোনো জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হয়, তখনই সদস্যদের সতর্ক করা হয় এবং তাদেরকে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হয়।

এই বিশেষায়িত দলটি অন্যান্য ডাক্তারদের সহায়তা করে থাকে। তারা রোগীদের চিকিৎসা ও ওষুধ দেয় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য বিভাগে স্থানান্তর করে। র‍্যাপিড রেসপন্স দল হাসপাতালের ডাক্তার ও জরুরি বিভাগের নিয়মিত সেবার পাশাপাশি বাড়তি সেবাদাতা হিসেবে কাজ করে থাকে। যার ফলে রোগীরা জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা পেয়ে থাকেন।

র‍্যাপিড রেসপন্স দলের রয়েছে নিজস্ব তহবিল ও চিকিৎসা উপকরণের মজুত, যার মাঝে রয়েছে ওষুধ, রক্ত ও অন্যান্য উপকরণ। জরুরি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে আগত বেশিরভাগ আহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায় না। তাদের পরিবারের সদস্যদের খুঁজে বের করাও সহজ নয় এবং তাদের কাছে কোনো অর্থও থাকে না। যার ফলে এই দলটি তাদের দায়িত্ব নেয় এবং সব খরচ বহন করে।   

পরিচালক ফোনের মাধ্যমে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই দলটি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর রোগীদের অন্যান্য বিভাগে পাঠায়। যেমন, যদি কারও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সেবা প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদেরকে সেখানে পাঠানো হয়। আর যদি কারও জরুরি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদেরকে ওটিতে পাঠানো হয়'।

পরিচালক আরও জানান, দলটি জরুরি সংকট মোকাবিলা ও দ্রুততম সময়ে কাজ করার জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ পেয়েছে। মাসে ১ বার তারা প্রশিক্ষণ পান এবং সেবার মানোন্নয়নের জন্য নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

ঢাকার গুলিস্তানের ১ ভবনে বিস্ফোরণে অন্তত ১৭ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি।

দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

Comments

The Daily Star  | English
Reforms vs election

Reforms vs election: A distracting debate

Those who place the election above reforms undervalue the vital need for the latter.

15h ago