সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বিস্ফোরণ

‘বোনের মৃত্যুর ৩৩ দিনের মধ্যে বাবাও চলে গেলেন’

সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণ
সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় বাবার মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আবদুল মান্নানের ছেলে আশিক। ছবি: মুনতাকিম সাদ/ স্টার

সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার নিউ জেনারেশন কোম্পানিতে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করতেন আবদুল মান্নান। সকালে হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণে অফিস বিল্ডিংটি আংশিক ধসে পড়ে।

বিস্ফোরণে যে তিন জন মারা যান তাদের মধ্যে মান্নান একজন। তার বাড়ি গাজীপুরে।

'মাত্র ৩৩ দিন আগে আমরা আমাদের একমাত্র বোনকে হারিয়েছি। শারীরিক অসুস্থতা ছিল তার। এখন বাবাও চলে গেলেন। কীভাবে মাকে সান্তনা দেব সেটাই বুঝতে পারছি না,' বিস্ফোরণে বাবাকে হারানোর পর হাহাকার করে বলছিলেন ছেলে আশিক।

এই অফিসে ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তার বাবা কাজ করছিলেন বলে জানান তিনি।

'খুব ভোরে পুরান ঢাকার ভাড়া বাসা থেকে বাবা কাজের জন্য বেরিয়েছিলেন। আমরা সবাই তখন ঘুমিয়ে ছিলাম। আমরা তাকে বিদায়টাও জানাতে পারিনি,' চোখের জলে বলছিলেন আবদুল মান্নানের বড় ছেলে শাকিল

ভবনটিতে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল। এ ঘটনায় তিন জন মারা গেছে এবং অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।

বিস্ফোরণের ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ কর্মকর্তারা।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট সেখানে ছুটে যায়।

তিনি বলেন, সকাল সোয়া ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

2h ago