চীনের ভূখণ্ড সম্প্রসারণের স্বপ্নের এখানেই শেষ নয়: তাইওয়ান

তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

চীনের সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ দাবি করেছেন—তাইওয়ানেই চীনের ভূখণ্ড সম্প্রসারণ স্বপ্নের শেষ নয়।

আজ শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ বলেন, 'চীন কী করতে চাচ্ছে, তার দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি এ অঞ্চলের দেশগুলোকে নজর রাখতে হবে।'

তিনি জানান, তাইওয়ান স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপ হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চায়।

চীন এই দ্বীপটিকে নিজ ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে। বেইজিংয়ের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও গত মঙ্গলবার তাইওয়ান সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।

মার্কিন নেতার তাইপে সফরের প্রতিক্রিয়া হিসেবে গতকাল থেকে তাইওয়ানের চারপাশে ৬ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে চীন নৌ ও বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়া শুরু করে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালায় পরাশক্তি রাশিয়া। ইতোমধ্যে দখলকৃত কিছু অংশে মস্কো ইউক্রেনীয় নাগরিকদের রুশ পাসপোর্ট দিচ্ছে। চীন-তাইওয়ানের চলমান উত্তেজনার কারণে এ ধরনের জল্পনা চলছে।

গতকাল শুরু হওয়া মহড়ার কারণে ইতোমধ্যে তাইওয়ানগামী শত শত জাহাজ ও উড়োজাহাজকে গন্তব্য পরিবর্তন করতে হয়েছে। বাতিল হয়েছে অসংখ্য বাণিজ্যিক ফ্লাইট।

এসব ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বলেন, 'চীনের আচরণ খুবই উসকানিমূলক এবং তা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে।'

তিনি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, 'স্পিকার পেলোসির মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের তাইওয়ান সফরে আসার বিষয়টি খুবই অর্থবহ। এতে তাইওয়ানের ভাবমূর্তির উজ্জ্বল হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বুঝতে পারছে যে, তাইওয়ানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।'

চীনের সামরিক কার্যক্রমের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, 'তাইওয়ানের হাতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবি-কাঠি রয়েছে। বিশেষ করে, উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তি খাতে।'

২০১৮ সাল থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা জোসেফ উ মনে করেন, চীন তাইওয়ানকে অধিগ্রহণ করলে তা অনেকের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করবে।

'আজকের দিনের প্রতিটি যন্ত্র অথবা গুরুত্বপূর্ণ পণ্যে কম্পিউটার চিপের প্রয়োজন হয়। সেগুলো তাইওয়ান থেকেই আসে। এই শিল্প ছাড়া আন্তর্জাতিক অর্থনীতি দুর্ভোগ পোহাবে,' যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago