কিরগিজস্তান থেকে বিশেষ ফ্লাইটে ১৪০ পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরেছে

কিরগিজস্তান থেকে লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা। ছবি: ডন
কিরগিজস্তান থেকে লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা। ছবি: ডন

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার পর ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান।

শুক্রবার রাতে অভিবাসীদের সঙ্গে অজানা বিরোধের জেরে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর বিশকেকে অবস্থান করা পাকিস্তানি নাগরিকদের ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিরগিজস্তান থেকে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।

সহিংসতার পর যেসব পাকিস্তানি নাগরিক দেশে ফিরতে চায়, তাদের জন্য এমন আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, গত সপ্তাহে বিশকেকে কিরগিজ নাগরিক ও বিদেশিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর জেরে এই সহিংসতা হয়েছে।

সহিংসতা শুরুর পর পাকিস্তান সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিজ দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিরগিজ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বিশকেকে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাস। সহিংসতায় আহত শিক্ষার্থীদের কয়েকজনকে সেখানকার একটি স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

নাগরিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে শনিবার এক কিরগিজ কূটনীতিককে তলব করে পাকিস্তান।

এ ঘটনার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা তদারকি করতে অবিলম্বে তিনি একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীকে বিশকেকে পাঠাচ্ছেন।

তবে এ সহিংসতায় দেশটির কোনো নাগরিক নিহত হয়েছে কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, পড়ালেখা ও কর্মসূত্রে কিরগিজস্তানে হাজারো পাকিস্তানি নাগরিক অবস্থান করছেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago