পাকিস্তানের জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়, ২২ কোটি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন

করাচির বিদ্যুৎ গ্রিড। ফাইল ছবি: রয়টার্স
করাচির বিদ্যুৎ গ্রিড। ফাইল ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাটে দেশটির প্রায় ২২ কোটি মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। ইতোমধ্যে জ্বালানি সঙ্কট ও শীত মৌসুমের মোকাবিলায় দেশটির জনগণ দুর্দশায় রয়েছে।

আজ সোমবার মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটে জাতীয় গ্রিড অকার্যকর হয়ে পড়ে, যার ফলে 'বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় আকারে সমস্যা দেখা দেয়'।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়য়, 'মেরামতের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে'। ১২ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার অঙ্গিকার করেছে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, রাজধানী ইসলামাবাদ ও পেশোয়ারে 'কিছু গ্রিডে' বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।

ঠিক কত সময় ধরে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলবে তা নিশ্চিত নয়। দেশের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনস্থাপনের কাজ চলছে।

এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট এমন সময় এলো যখন পাকিস্তানের ভঙ্গুর অর্থনীতি তীব্র জ্বালানি সঙ্কট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় ভুগছে।

দেশব্যাপি বিদ্যুৎ বিভ্রাটে করাচির এক দোকানি জেনারেটর চালুর চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স
দেশব্যাপি বিদ্যুৎ বিভ্রাটে করাচির এক দোকানি জেনারেটর চালুর চেষ্টা চালাচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স

এ মাসের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ কেন্দ্রীয় সরকারের সব বিভাগকে তাদের জ্বালানি ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও, জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকার সব বাজার রাত ৮টা ৩০ মিনিট ও রেস্তোরাঁ রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।

জ্বালানি সাশ্রয়ের সিদ্ধান্তের আগে পাকিস্তান তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করে। সরকারের ঘোষণা মতে, ৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক দ্য স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের (এসবিপি) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৪ দশমিক ৩৪৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, যেটি মাত্র ৩ সপ্তাহের আমদানি খরচ মেটানোর জন্য যথেষ্ট। ২টি সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নেওয়া ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধের পর রিজার্ভ এ পর্যায়ে নেমে আসে। 

২০২১ সালে পাকিস্তান 'বিদ্যুৎ প্রবাহ ব্যবস্থার তরঙ্গের ওঠানামার কারণে' কয়েক ঘণ্টার জন্য অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। এ ঘটনার পর সোমবারের বিদ্যুৎ বিভ্রাটই এই খাতের সবচেয়ে বড় আকারের বিপর্যয়।

উল্লেখ্য, সিআইএ ফ্যাক্টবুকের ২০২২ সালের প্রাক্কলন মতে পাকিস্তানের জনসংখ্যা প্রায় ২৪ কোটি ৩০ লাখ।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

59m ago