মানবিক কারণে গোতাবায়াকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে: থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ডের ডন মিউং বিমানবন্দরে গোতাবায়া ও তার স্ত্রী। ছবি: রয়টার্স
থাইল্যান্ডের ডন মিউং বিমানবন্দরে গোতাবায়া ও তার স্ত্রী। ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে গতকাল থাইল্যান্ডে এসে পৌঁছেছেন। তবে দেশটিতে তিনি সাময়িকভাবে অবস্থান করবেন বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে গতকাল এই তথ্য জানা গেছে। 

গত মাসে গণআন্দোলনের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে তিনি প্রথমে মালদ্বীপে ও পরবর্তীতে সিঙ্গাপুরে চলে যান। সিঙ্গাপুরে প্রায় ৪ সপ্তাহ থাকার পর গতকাল একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে চড়ে ব্যাংককের ডন মিউং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় রাত ৮টায় অবতরণ করেন গোতাবায়া ও তার স্ত্রী। 

স্থানীয় গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি বিমানবন্দরে ৪০ মিনিট অবস্থানের পর ভিআইপি গেট দিয়ে তার স্ত্রীসহ বের হয়ে আসেন এবং একটি কালো গাড়িতে করে অজ্ঞাত অবস্থানে চলে যান।

থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা বুধবার জানান, শ্রীলঙ্কা সরকারের অনুরোধে গোতাবায়াকে সাময়িকভাবে থাইল্যান্ডে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

থাই প্রধানমন্ত্রী প্রাইয়ুথ চান-ওচা জানান, রাজাপাকসেকে মানবিক কারণে থাইল্যান্ডে থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তিনি তৃতীয় একটি দেশে স্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

তবে চান-ওচা এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। থাইল্যান্ড থাকাকালীন সময় রাজাপাকসে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াবেন না বলে তিনি নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার গোতাবায়ার সিংগাপুরের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে।

রাজাপাকসে ব্রাদার্স: বাম থেকে ডানে মাহিন্দ্র, গোতাবায়া ও বাসিল। ছবি: এপি

থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সাংগ্রাত বুধবার জানান, রাজাপাকসে সাময়িক ভাবে এখানে থাকবেন। তার আরও যাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি নিশ্চিত করেন, রাজাপাকসে রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি।

তানি সাংগ্রাত আরও জানান, যেহেতু সাবেক প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক পাসপোর্ট রয়েছে, তাকে বিনা ভিসায় সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাইল্যান্ডে অবস্থান করতে দেওয়া হবে।

রাজাপাকসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা এএফপি কে জানিয়েছেন, সাবেক নেতা দেশে ফিরে যেতে আগ্রহী। তার ধারণা, তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঝিমিয়ে পড়েছে। তবে গোতাবায়ার উত্তরসূরি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে তাকে আপাতত দেশে না ফেরার উপদেশ দিয়েছেন।

সিংগাপুরের কর্মকর্তারা জানান, রাজাপাকসে ব্যক্তিগত ভ্রমণে এসেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাকে বিশেষ কোনো সুবিধা দেওয়া হয়নি।

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মুখে জনরোষ থেকে বাঁচতে গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন। শিগগির দেশে ফিরতে পারবেন, এমন সম্ভাবনা নেই। মূল্যস্ফীতি, জ্বালানীর অভাব ও অন্যান্য সমস্যার জন্য শ্রীলঙ্কার জনগণ মূলত রাজাপাকসে পরিবারকেই দায়ী করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago