আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, তদারকিতে কিম ও তার মেয়ে

রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, পরীক্ষার মাধ্যমে ‘এই আইসিবিএমের যুদ্ধ-প্রস্তুতি নিশ্চিত হয়েছে’। তবে এতে ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই’ বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।
আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সরাসরি তদারকি করেন কিম জং উন ও তার মেয়ে। ছবি: এএফপি
আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সরাসরি তদারকি করেন কিম জং উন ও তার মেয়ে। ছবি: এএফপি

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া তাদের দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশটির নেতা কিম জং উন ও তার মেয়ে ব্যক্তিগতভাবে উৎক্ষেপণের তদারকি করেন।

আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএতে প্রকাশিত ছবির বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার পিয়ংইয়ং ২০২৩ এর দ্বিতীয় আইসিবিএম পরীক্ষা চালায়। এতে একটি হোয়াসং ১৭ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার 'উন্মত্ত' যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় এই পরীক্ষা চালানোর হয়েছে বলে জানিয়েছে পিয়ংইয়ং।

দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে কিম সাদা-কাল রঙে রাঙানো হোয়াসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ দেখছেন।

কয়েকটি ছবিতে তাকে তার মেয়ের সঙ্গে দেখা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা বিভাগের মতে, এটি কিম জং এর দ্বিতীয় কন্যা, যার নাম জু আয়ে।

আইসিবিএমে বসানো ক্যামেরার মাধ্যমে মহাশূন্য থেকে ধারণ করা পৃথিবীর ছবিও পত্রিকায় ছাপা হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, পরীক্ষার মাধ্যমে 'এই আইসিবিএমের যুদ্ধ-প্রস্তুতি নিশ্চিত হয়েছে'। তবে এতে 'প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব নেই' বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৭। ছবি: এএফপি
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র হোয়াসং-১৭। ছবি: এএফপি

বৃহস্পতিবারর পরীক্ষা সফল হওয়ার পর কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া 'পারমাণবিক অস্ত্রের উত্তর পারমাণবিক অস্ত্র দিয়েই দেবে'। তিনি 'পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকাতে যা করা প্রয়োজন, তা করার' আহ্বান জানান।

এছাড়াও, তিনি 'যেকোনো ধরনের সশস্ত্র সংঘাত ও যুদ্ধে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানোর সক্ষমতা অর্জনের' দিকে নজর দেওয়ার কথা জানান।

তাত্ত্বিক ভাবে হোয়াসং-১৭ আইসিবিএম যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম।

বৃহস্পতিবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এমন এক সময় পরিচালিত হল যখন টোকিও ও সিউল নিজেদের কূটনৈতিক সম্পর্কের বরফ গলানোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। সেদিনই প্রায় ১২ বছর পর কোনো দক্ষিণ কোরীয় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল টোকিও পৌঁছান।

এর আগে, রোববার উত্তর কোরিয়া ডুবোজাহাজ থেকে ২টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং বৃহস্পতিবার আরও ২টি স্বল্প পাল্লার ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। এর মাঝে চলে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া।

 

Comments

The Daily Star  | English
PM Sheikh Hasina

Govt to seek extradition of Hasina

Prosecutors of the International Crimes Tribunal have already been appointed and the authorities have made other visible progress for the trial of the ones accused of crimes against humanity during the July students protest

47m ago