মুম্বাইয়ে ঝড়, গাড়ির ওপর বিলবোর্ড পড়ে মৃত ১৪
সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বাইতে প্রবল ঝড়ের ফলে একটি বড় আকারের বিলবোর্ড ভেঙে পেট্রোল পাম্পে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৪ জন। আহত হয়েছেন আরও ৭০ জন।
মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের উল্টোদিকে ছিল ওই বিলবোর্ডটি। প্রবল ঝড়ে তা উড়ে গিয়ে আছড়ে পড়ে পাম্পের ওপর। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি গাড়ির ছাদ চিড়ে দিয়ে আছড়ে পড়েছে বিলবোর্ডটি। বিলবোর্ডটি ৭০ মিটার চওড়া ও ৫০ মিটার লম্বা ছিল।
ঘটনাস্থলে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কতৃপক্ষ এনডিআরএফ ঘটনাস্থলে দুইটি দল পাঠিয়েছে। দমকল বিভাগের কর্মীরাও সেখানে কাজ করছেন। অন্য তদন্তকারী দলও সেখানে আছে। এনডিআরএফের পরিদর্শক গৌরব চৌহান বলেন, 'পোট্রোল পাম্প বলে খুব সাবধানে কাজ করতে হচ্ছে। সেজন্য হোর্ডিংয়ের নিচে যারা চাপা পড়ে আছেন, তাদের উদ্ধার করতে কিছুটা সময় লাগছে।'
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস বলেছেন, 'ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।'
মুম্বাই সরকারের পুলিশ হাউসিং বিভাগের পুলিশ ওয়েলফেয়ার কর্পোরেশনের লিজ দেয়া এলাকায় বিলবোর্ডটি লাগানো হয়েছিল। ওখানে একটি বিজ্ঞাপনসংস্থা এরকম আরো তিনটি হোর্ডিং স্থাপন করেছে। ইতোমধ্যে মুম্বাই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ওই বিজ্ঞাপন সংস্থাকে পুলিশের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার (রেলওয়েজ) হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দিলেও পৌরসভার কাছ থেকে কোনো অনাপত্তি (এনওসি) নেয়া হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে বিএমসি (মুম্বাই পৌরসভা) পুলিশের সহকারী কমিশনারকে নোটিশ দিয়েছে। তারা বলেছে, পুলিশের অনুমতিক্রমে যে সব হোর্ডিং লাগানো হয়েছে, সব যেন অবিলম্বে খুলে নেয়া হয়।
মুম্বাইয়ে সোমবার সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রবল ধুলোর ঝড় শুরু হয়। রেল ও উড়োজাহাজ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়।
এই অসময়ের ঝড়-বৃষ্টিতে প্রবল গরমের হাত থেকে মুম্বাইবাসী কিছুটা স্বস্তি পেলেও বিলবোর্ড দুর্ঘটনায় শহরে শোকের ছায়া নেমেছে। বেশ কিছু প্রশ্নও উঠেছে।
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, তার সরকার শহরের সব হোর্ডিংয়ের স্ট্রাকচারাল অডিট করবে। যে সব হোর্ডিং বেআইনি ও ভয়ংকরভাবে লাগানো, তা সরিয়ে দেয়া হবে।
শিন্ডে বলেন, 'যাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে।'
পিটিআই, এপি, এএফপি, এনডিটিভি
Comments