ভূমিধসে হিমাচলে ১৫ কিলোমিটার যানজট, আটকা পড়েছেন ২০০ পর্যটক

হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসে মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নেওয়া ছবি: দ্য স্টেটসম্যান
হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসে মহাসড়ক বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নেওয়া ছবি: দ্য স্টেটসম্যান

ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত থেকে ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। যার ফলে মণ্ডী ও কুলু জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে পাথর পড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়েছে এবং ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সোমবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মহাসড়কে আটকে থাকা ২০০ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন, যাদের বেশিরভাগই পর্যটক।

এই পাহাড়ি রাজ্যে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে রোববার সন্ধ্যায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয়।

কর্মকর্তারা জানান, সড়কের ওপর আটকে থাকা বড় বড় পাথরগুলো সরাতে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হচ্ছে। তারা জানান, সড়কটিকে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে মোট ৭-৮ ঘণ্টা সময় দরকার।

ইতোমধ্যে মহাসড়কের ওপর আটকে থাকা যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।

এনডিটিভি কয়েকজন আটকে পড়া পর্যটকের সঙ্গে কথা বলেছে।

দিল্লি থেকে আসা আজাজ হাসান বলেন, 'মণ্ডী ও সুন্দরনগরের মধ্যে একাধিক ভূমিধস হয়েছে। রাত ১০টার দিকে পুলিশ আমাদেরকে থামিয়ে ফিরে যেতে বলে। কিন্তু এখানে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।'

'এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য কোনো পর্যটক প্রস্তুত ছিল না। এখানে শিশুসহ পরিবারের বিভিন্ন বয়সের সদস্যরা রয়েছেন। কেউ কেউ পুরো বাস ভাড়া করে এসেছেন। কিছু মানুষ ধাবায় (পথের পাশের রেস্তোরাঁ) অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বলতে গেলে কেউই কোনো হোটেল খুঁজে পায়নি। তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন', যোগ করেন আজাজ।

তিনি আরও জানান, এই এলাকায় পর্যটকদের জন্য কিছু রিসোর্ট আছে আর কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন অবকাঠামো আছে, কিন্তু কোনো বিকল্প সড়ক নেই।

'গতকাল (রোববার) বিকেল ৫টা থেকে মহাসড়ক বন্ধ আছে, কিন্তু এখনো সড়কের ওপর পড়ে থাকা পাথর সরানো হয়নি', যোগ করেন তিনি।

স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয় তাদের সতর্কবাণীতে জানায়, আগামী ২ দিন হিমাচল প্রদেশে আরও ঝড়, বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

‘No room for politics under AL name, ideology’

Nahid Islam, adviser to the interim government, spoke with The Daily Star on the nation's key challenges and the way forward.

13h ago