রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্নে শীর্ষে ভারত, পঞ্চম বাংলাদেশ
গত বছর অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে সবচেয়ে বেশিবার সরকারি নির্দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের ঘটনা ঘটেছে। টানা ৫ বছর ধরে দেশটি এই ক্ষেত্রে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে আছে। বাংলাদেশও এ তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইন্টারনেট পর্যবেক্ষক ও ডিজিটাল অধিকার রক্ষা সংস্থা অ্যাক্সেস নাউ'র প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাক্সেস নাউ ২০২২ সালে বিশ্বে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের ১৮৭টি ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। এর ৮৪টিই ঘটেছে ভারতে। বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৬ বার।
এর মধ্যে কাশ্মীরের ভারতশাসিত অংশে ৪৯ বার ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতকাল এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরের শাসনভার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদে জড়িয়ে আছে। ২ দেশ আংশিকভাবে এ অঞ্চল শাসন করছে।
২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ অধিকার রদ করে একে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতায় নিয়ে আসে।
এরপর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার এ অঞ্চলে নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুলে নিয়মিত যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে চলেছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব উদ্যোগের নিন্দা জানানো পাশাপাশি একে ভিন্নমত দমনের প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছে।
কাশ্মীরে ভারতশাসিত অঞ্চলে প্রায় ৩ দশক ধরে সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সংঘাত চলছে। এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। ইসলামাবাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউক্রেন। গত বছর রুশ সামরিক বাহিনী দেশটিতে হামলা চালানোর পর ইউক্রেনে অন্তত ২২ বার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
তৃতীয় অবস্থানে আছে থাকা ইরান ২০২২ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় ১৮ বার সরকারি নির্দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রেখেছিল।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাহসা আমিনি পুলিশি হেফাজতে মারা গেলে দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়, যা সীমিত আকারে এখনো চলছে।
একই সময়ে মিয়ানমার ৭ বার ও বাংলাদেশ ৬ বার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এই তালিকায় যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে আছে।
Comments