রাশেদ খান মেনন ও বহুজীবনের গল্প…
বাংলাদেশ রাষ্ট্র তৈরির যে রাজনৈতিক আন্দোলন, তার একটা বড় অংশ জুড়ে ছিল আমাদের ছাত্র রাজনীতি। সেই রাজনীতি ডান, বাম, মধ্যপন্থায় বিকশিত হয়ে শেষাবধি স্বাধীকারের লড়াইয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। বহু জনের বহু ত্যাগ ও শ্রম আছে এই রাজনৈতিক যাত্রাপথে।
বহুজন সৌভাগ্যক্রমে রাজনৈতিক স্বীকৃতির পাদপ্রদীপের আলোকছটায় আলোকিত হয়েছেন, অনেকের ভাগ্যেই সেই ফ্লাশলাইটের আলো জোটেনি। আবার জনরাজনীতির স্রোতকে পরবর্তীতে যারা নিজেদের অনুকূলে আনতে পেরে ক্ষমতার মসনদকে কাছে পেয়েছেন, তাদের অনেক অনুজ্জ্বল মুখও ক্ষমতার আলোয় অতীতের গৌরবের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে।
রাজনৈতিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পালাবদল ঘটায় আমাদের রাজনৈতিক-রাষ্ট্রনৈতিক ইতিহাস লেখার ক্ষেত্রে যে খুব নিরপেক্ষতা বজায় রাখা গেছে, তাও নয়। তাহলে নির্মোহ সত্য ইতিহাসের খোঁজ আমরা পাব কিভাবে? সেই জটিল প্রশ্নের একটা সহজ সমাধান হচ্ছে, ঘটনাক্রমের সঙ্গে জড়িত বহুজনের লিখিত অভিজ্ঞতা।
আমাদের ছাত্ররাজনীতি, আমাদের মূলধারার রাজনীতি—যেখানেই যিনি ভূমিকা রেখেছেন, তাদের নিজের লেখা বই আকারে প্রকাশিত হলে বহুভঙ্গির-বহুভাবের-বহু দৃষ্টিভঙ্গির এই বিচিত্র বয়ান থেকে ইতিহাসের একটা সত্য ধারণা পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
আজকাল অনেকেই সেই অভাব পূরণ করছেন। যেমন: হাতের কাছে পাওয়া গেল রাশেদ খান মেননের লেখা 'এক জীবন-প্রথম পর্ব, স্বাধীনতার সূর্যোদয়' বইটি। বইটির প্রকাশক 'বাতিঘর'। প্রকাশিত হয়েছে ২০২১ সালের জুনে।
১৯৪৩ সালে লেখকের জন্মসাল থেকে শুরু করে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সময়কাল পর্যন্ত লেখা এই স্মৃতিরচনা মূলত আমাদের রাজনৈতিক-রাষ্ট্রনৈতিক আন্দোলনের দীর্ঘ পথের ভেতরকথার এক বয়ান। চীনপন্থি বামধারার এক রাজনৈতিক নেতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ঘটনাক্রমের বর্ণনা। এর মধ্যে বড় হয়ে আছে আমাদের গৌরবময় ছাত্ররাজনীতির এক গভীরতর ঘটনাপ্রবাহের একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান। আছে মুক্তিযুদ্ধপূর্ব ও মুক্তিযুদ্ধকালীন সংকটময় সময়ের এক বর্ণনা। সে হিসেবে বইটির রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গুরুত্ব অপরিসীম। প্রায় পাঁচশো পৃষ্ঠার এই বই সুলিখিত ও সুপাঠ্য।
কেন বইটি গুরুত্বপূর্ণ
১. বইটি লিখেছেন রাশেদ খান মেনন। আমাদের বামধারার রাজনীতির এক দিকপাল তিনি। এই বইয়ে তার ব্যক্তিজীবন যেমন প্রকাশিত হয়েছে, তেমনি এসেছে তার রাজনৈতিক সাথীদের কথা। ফুটে উঠেছে আমাদের রাজনীতির ত্যাগধর্মী, আত্মোৎসর্গীত, প্রাণিত দেশপ্রেমিক সময়কালের চিত্র। ছাত্ররাজনীতি কিভাবে মূলধারার রাজনীতি আর গণরাজনীতিকে প্রভাবিত করত, সেই ঘটনাপ্রবাহের সুনিপুণ বর্ণনা আছে বইয়ের বহু জায়গায়।
২. এত ত্যাগ, এত শ্রম আর এত আত্মোৎসর্গ সত্ত্বেও কেন আমাদের বামধারার রাজনীতি জনহৃদয় জয় করতে ব্যর্থ হলো, সাদাচোখে সেটা বোঝার জন্য রাশেদ খান মেননের এই বই পাঠ খুবই উপকারী। এমনকি রাশেদ খান মেননের নিজের ব্যক্তি ও দলীয় রাজনীতি কেন এরকম বিবর্ণ-আত্মপর হয়ে গেলো, কেন জনপ্রত্যাশার বিপরীতে এক ধরনের লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে পর্যবসিত হলো, তার অন্তর্নিহিত কারণও এই বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে।
৩. আমাদের বামধারার রাজনীতি অনেক সময় কেন জনমানুষের মূল আকাঙ্ক্ষাকে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে, তার কারণগুলো এই বইয়ে বলা হয়েছে অভিজ্ঞতার নিরিখে। ১৯৭০ সালের নির্বাচন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ—এসব ক্ষেত্রে বাম রাজনীতি ঐক্যবদ্ধভাবে জনভাবনার মূলধারার সঙ্গে যে যেতে পারেনি, সেটা আদর্শিক না ব্যক্তি-মানুষের অক্ষমতা, সেটা দেখারও সুযোগ করে দিয়েছেন রাশেদ খান মেনন নিজের জীবনের গল্প বলতে যেয়ে। এটা এই বইয়ের একটি তাৎপর্যবাহী দিক।
৪. আমাদের ছাত্ররাজনীতির বড় অংশীজন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কিভাবে ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন), ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) চেহারা পেলো, তার একটা বিশদ ব্যাখ্যা এই বইয়ে আছে। যদিও এসব বিভাজনের এক দিকপাল রাশেদ খান মেনন নিজেই। তবুও আমাদের ছাত্ররাজনীতির ভেতরকথার বয়ানপ্রবাহ তাতে বিদ্যমান।
৫. এই বইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছেন, বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্যমানব মাওলানা ভাসানী। তার রাজনীতির রহস্য যদিও এখানেও উন্মোচিত হয়নি, কিন্তু তার রহস্যময়তার নানা ঝিলিকের ঘটনাপ্রবাহের কথা বলেছেন রাশেদ খান মেনন দারুণ ভক্তিতে।
৬. বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন, জেল জীবনের এক সুন্দর ছবি আঁকা আছে রাশেদ খান মেননের গুণমুগ্ধ কলমে।
৭. আমাদের বামধারার রাজনীতি, যারা জনমানুষের জীবনে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে, কিভাবে চীন আর রাশিয়া মুখী হয়ে গেলো, তার কথাও মিলবে এই বইয়ে। কিভাবে বাম রাজনীতি কথায় কথায় খণ্ডিত হতে চেয়েছে ও সাফল্যের সঙ্গে নিজেদেরই বারবার বিভাজিত করেছে—সেই কারণ অনুসন্ধানের অনেক সূত্র ছড়িয়ে আছে রাশেদ খান মেননের বইয়ে।
৮. রাশেদ খান মেনন নিজের প্রেম ও পরিণয়ের গল্প বলেছেন, কিন্তু সেই বয়ানে তৎকালীন সমাজচিত্রের একটা সুন্দর ছবিও ফুটে উঠেছে দারুণভাবে।
৯. খোদ পাকিস্তান আমলে সামরিক শাসনের মোড়কেও রাজনৈতিক কর্মীদের জেলখানার জীবন কেমন ছিল, সেটা পড়লে আজকের দিনের জেলজীবনকে ঠিক চেনা যায় না। রাশেদ খান মেনন সেই জেলজীবনের গল্প বলেছেন সুনিপুণভাবে।
১০. গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক জীবনের বহু চরিত্র, বহু ঘটনা, বহু মানুষের বর্ণাঢ্য বর্ণনা আছে এই বইয়ে। সেটা এই বইয়ের একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক।
রাষ্ট্র কি বদলালো
রাশেদ খান মেনন যে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের কথা এই বইয়ে বললেন, সেখানে রাজনীতির চরিত্র, রাষ্ট্রের চেহারার কি বদল পাওয়া গেলো? এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা। সাদাচোখে জনগণ যে রাষ্ট্রকে দেখে, সেটাই কি রাষ্ট্রকে সত্যিকার পরিচালনা করে? নাকি, রাষ্ট্রের ভেতরে যে রাষ্ট্র থাকে, যাকে সাদাচোখে দেখা যায় না, যেটা অনেক সময় রাজনীতিবিদদের নিজেদেরও নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে, সেটাই আসলে রাষ্ট্র চালায়? গত অর্ধশতাব্দি ধরে কি সেই ধারায় কোনো পরিবর্তন এসেছে? সেই প্রশ্নটা নতুন করে এসে যায় রাশেদ খান মেননের লেখায় পাওয়া এক ঘটনার কারণে।
রাশেদ খান মেনন লিখেছেন, 'তখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রস্তুতি চলছে। শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময় ঢাকার ডিআইজি সাদেকুর রহমান সাহেব হঠাৎ আব্বার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলেন। তিনি জানালেন, তাঁর ওপর দায়িত্ব পড়েছে আব্বার ধানমন্ডির বাসায় একটা ব্রিফকেস রেখে যেতে, তাতে এমন কিছু ডকুমেন্ট থাকবে, যাতে আমাকে ও ছোড়দাকে (এনায়েতুল্লাহ খান) আগরতলা মামলায় ঢোকানো যায়। একই সঙ্গে আব্বাকেও বেকায়দায় ফেলা যায়। তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার। আর তাঁর ছেলেরা তাঁর বাসাকে ব্যবহার করছে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মতো রাষ্ট্রদ্রোহের একটা মামলার জন্য।' [পৃষ্ঠা:২৮০]
আজও কি আমরা এই ধরনের ঘটনাপ্রবাহের বাইরে রয়েছি!
কতটা পাল্টেছেন কমিউনিস্টরা
কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রধানতম দুর্বলতা কী? বুর্জোয়াদলগুলোর লেজুড়বৃত্তিকে কেন এড়াতে পারে না কমিউনিস্ট আন্দোলন? তার স্বাধীন বিকাশের পথ রহিত কেন? এসব প্রশ্ন বহুদিনের। রাশেদ খান মেনন বহুজিজ্ঞাসিত এসব প্রশ্নের একরকম ব্যাখ্যা হাজির করেছেন।
লিখেছেন, 'এ দেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের প্রধানতম দুর্বলতা ছিল তারা নিজেদের ওপর না দাঁড়িয়ে অন্যের মাধ্যমে তাদের মন জুগিয়ে কাজ করার নীতি নিয়ে চলত। আর তাদের মধ্যে "ঐক্য" সম্পর্কে একধরনের বিশেষ ধারণা কাজ করত। এ কারণে দেখা গেছে, পাকিস্তান আমলে তো বটেই, বাংলাদেশ আমলে শেখ মুজিবুর রহমান যখন নিজের দল ও কর্মসূচির ওপর জোর দিয়েছে কমিউনিস্টরা তখন "ঐক্য", "ঐক্য" তান তুলেছে। কিন্তু বুর্জোয়া নেতারা তাদের প্রয়োজনে এদের সঙ্গে ওই "ঐক্য" করেছে। আবার প্রয়োজন শেষ হলে কমিউনিস্ট তথা বামদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এ দেশের আন্দোলনের পরতে পরতে এর দেখা মেলে।' [পৃষ্ঠা:১৭৯]
বলা বাহুল্য, এই দোষ থেকে খোদ রাশেদ খান মেননও নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেননি!
জেলখানার শিক্ষা
জেলখানা বহু শিক্ষার আধার হয়েছে। বহু নেতার সঙ্গ তাদের বহু কিছু শিখিয়েছে। বহু নতুনতর অভিজ্ঞতা জুটেছে কপালে। কিন্তু জনমানুষের হৃদয়ছোবার অভিজ্ঞতা গেছে সব ছাপিয়ে। এই বইয়ে আছে সেরকম একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা।
রাশেদ খান মেনন বলছেন, 'নতুন বিশ সেলে থাকতেই আমি হাসপাতালে যাই। আর সেখানে লাভ করি একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষাশহীদ দিবসে এক নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা দুজন ছাত্রবন্দী ছিলাম আর ছিলেন রেল শ্রমিকনেতা জসিম উদ্দিন মণ্ডল। জসিম উদ্দিন মণ্ডল সম্পর্কে বলতে গেলে বিরাট কাহিনী হয়ে যাবে। তিনি রেল ইঞ্জিনে কয়লা ঠেলতেন। সেই যুবা বয়সেই রেল শ্রমিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। রেল কনস্টিটিউয়েন্সি থেকে কংগ্রেসের প্রখ্যাত চিন্তাবিদ হুমায়ুন কবীরকে হারিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘকালিন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতিবসু যে নির্বাচনে জেতেন, তিনি ছিলেন সেই নির্বাচনের একজন সংগঠক। ঠিক হলো জেল হাসপাতালে সন্ধ্যায় লক আপ হয়ে গেলে শহীদ দিবস পালন করা হবে। আমরাসহ ফালতুরা (জেলখানার সাধারণ কয়েদি) খেয়েদেয়ে শহীদ দিবসের আলোচনায় বসলাম। ফালতুরা যার যার বিছানায় হয় শুয়ে না হয় বসে। আমি এবং আমার সহ-ছাত্রবন্দী দুজনে শহীদ দিবসের ওপর বেশ সারগর্ভ বক্তৃতা করলাম। ফালতুরা যারা আমাদের শ্রোতা, তাদের বিশেষ প্রতিক্রিয়া নাই। এরপর জসিম ভাই তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে বক্তৃতা শুরু করলেন। দেখলাম, ওই ফালতুরাই বিছানা থেকে শোয়া ছেড়ে উঠে বসেছে। একাগ্রমনে জসিম ভাইর বক্তৃতা শুনছে। বুঝলাম আমরা যে বক্তৃতা করি তা সাধারণ মানুষ বোঝে না। জসিম ভাই যে ভাষায় কথা বলছেন, সেটাই সাধারণ মানুষের ভাষা।' [পৃষ্ঠা:২৫০-৫১]
সমাজতন্ত্র করব
স্বাধীন দেশে জীবিত ফিরে এসেছেন জাতির পিতা। সমাজতন্ত্রী রাজনীতির তরুণ তুর্কিরা দেখা করতে গিয়েছেন তার সঙ্গে। রাশেদ খান মেননের বইয়ে আছে সেইস্মৃতির বহুরঙ্গা গল্প…
'পরদিন ১১ জানুয়ারি (১৯৭২) আমি, হায়দার আকবর খান রনো, কাজী জাফর ভাই ধানমন্ডির ১৮ নম্বর রোডে যেখানে বঙ্গবন্ধুকে ওঠানো হয়েছিল, সেখানে গেলাম। ওই বাড়ির নীচে দাঁড়িয়ে ইতস্তত করছি। পরিচিত কাউকে পাওয়া যায় কিনা দেখছি। এমন সময় বঙ্গবন্ধুর জামাতা ওয়াজেদ ভাই আমাদের দেখে চিৎকার করে উঠলেন। বললেন, ওপরে আসো, বঙ্গবন্ধু ওপরে আছেন। তাঁকে অনুসরণ করে ওপরে গেলাম। দেখলাম শালপ্রাংশু দীর্ঘদেহী বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়ে আছেন। একজন দরজি তাঁর পাঞ্জাবির মাপ নিচ্ছে। পাশেই একথান সাদা পাঞ্জাবির কাপড়।
বঙ্গবন্ধু আমাদের দেখে চিৎকার করে উঠলেন, "আয় তোরা, দেশ স্বাধীন করেছি, এখন সমাজতন্ত্র করব।" বঙ্গবন্ধুর এই স্বত:স্ফূর্ত উচ্চারণে আমরাও আবেগাপ্লুত হলাম। বললাম, "সমাজতন্ত্র করলে, আপনার সঙ্গে আমরাও আছি"।' [পৃষ্ঠা: ৪৩১]
পুনশ্চ: বাংলাদেশের রাজনীতি চিন্তায় যুক্তি, রেফারেন্স আর অভিজ্ঞতার বয়ানের একটা ঘোরতর অভাব আছে। তাই আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের বহু ঘেরাটোপ ক্ষমতাবানদের বয়ানেই আচ্ছন্ন। সেই প্রবণতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হলে বহুধারার-বহুচিন্তার-বহুমাত্রিক মানুষদের বহুভাবে লেখাজোকা চালিয়ে যেতে হবে। বর্তমান শাসকশ্রেণীর রাজনৈতিক মিত্র রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেনন সেই ধারায় তার লেখা যে যুক্ত করলেন, সেটা কর্ম হিসেবে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
শুভ কিবরিয়া: সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক
Comments