গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি, মজুরি বোর্ড ও রেশন চালুর দাবি

গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন, রেশন ব্যবস্থা চালু ও নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
ছবি- সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন, রেশন ব্যবস্থা চালু ও নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের ১৬তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তারা এসব দাবি জানান।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, 'বর্তমান সময়ে পোশাক শ্রমিকদের বেতন দিয়ে সংসার চালানো সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছে। পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে শিগগির ব্যবস্থা করা হবে। মালিকরা কত টাকায় পণ্য কিনছেন, আমদানি কত পরিমাণ করা হচ্ছে এবং শ্রমিকরা বেতন কত পাচ্ছেন এসব বিষয়ে একটি রিসার্চ প্রয়োজন। তারপর আলোচনা করে দাবিগুলো পূরণ করা সম্ভব।'

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, '৩ বছরের করোনার ধাক্কা ও জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে পোশাক শ্রমিকরা অনিশ্চিত জীবনযাপন করছেন। গার্মেন্টস পণ্য আমদানিকারক দেশগুলো পণ্য কেনা কমিয়েছে। বাংলাদেশে গার্মেন্টস পণ্যের অর্ডার প্রায় ৩০ ভাগ কমে গেছে। এজন্য শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির দাবিও যৌক্তিক।'

তিনি আরও বলেন, '২০১৮ সালে সবশেষ মজুরি নির্ধারণ হয়েছিল। কথা ছিল ৩ বছর পর এ মজুরি পুন:মূল্যায়ন করা হবে এবং এ ৩ বছরে ৫ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধি ঘটবে। কিন্তু কোনোটিই হয়নি। এখন সময় এসেছে নতুন করে মজুরি পুন:মূল্যায়ন করার। জাতীয় নূন্যতম মজুরি হাইকোর্টে আটকে আছে। সেটিও এখন বাস্তবায়ন করা দরকার।'

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিনুল হক আমিন।

তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুযায়ী শ্রমিকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আইন শিগগির বাস্তবায়ন করা দরকার। নারী পোশাক শ্রমিকদের ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করতে হবে। নতুন মজুরি বোর্ড ঘোষণার আগে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।'

Comments