গ্রিন টি কি আসলেই ওজন কমায়?

গ্রিন টি কি আসলেই ওজন কমায়?
ছবি: সংগৃহীত

চা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পানীয় এবং আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। র চা এবং দুধ চায়ের পাশাপাশি বর্তমানে গ্রিন টির জনপ্রিয়তাও ব্যাপক। অনেকেই গ্রিন টি খেয়ে থাকেন ওজন কমানোর জন্য। কিন্তু গ্রিন টি কি আসলেই ওজন কমায়?

চলুন জানি মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারের পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মীর কাছ থেকে।

শরীফা আক্তার শাম্মী বলেন, চায়ের মধ্যে গ্রিন টির উপকারিতা বেশি। গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। গ্রিন টি অবশ্যই চিনি ছাড়া খেতে হবে। এক কাপ দুধ চা বা কফির থেকে এক কাপ গ্রিন টি খাওয়া বেশি স্বাস্থ্যকর।

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষভাবে গ্রিন টির ভূমিকা রয়েছে। তবে শুধু গ্রিন টি খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব না। যারা ওজন কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করছেন তারা তাদের খাদ্যতালিকায় গ্রিন টি রাখতে পারেন। এটি এক্ষেত্রে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

শরীফা আক্তার শাম্মী বলেন, সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়। গ্রিন টি খাওয়ার উপযুক্ত সময় সকালের খাবার খাওয়ার ৪৫-৬০ মিনিট পর এবং ব্যায়াম করার ৩০-৪৫ মিনিট আগে বা পরে।

গ্রিন টির মধ্যে থাকা পলিফেনল চর্বি জারণ বা ফ্যাট অক্সিডেশন হওয়ার প্রক্রিয়াকে ভালো করে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরের মেদ কোষে বেশি শর্করা ঢুকতে পারে না। গ্রিন টির মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরের বিপাকীয় হার বাড়ায়। বিপাকীয় হার বাড়লে ওজন দ্রুত কমে। এ ছাড়া এতে থাকে ক্যাফেইন, যা ব্যায়ামের শক্তি জোগায়। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে এবং সঙ্গে ব্যায়াম করলে শরীরের চর্বি দ্রুত ঝরে। ফলে ওজনও কমতে থাকে। ব্যায়াম না করে শুধু গ্রিন টি খেলে এ উপকার পাবেন না।

ওজন কমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি গ্রিন টি আরও অনেক উপকার করে থাকে শরীরের-

  • গ্রিন টিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড শরীরকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে সাহায্য করে।
  • এটি হজমপ্রক্রিয়া ভালো করে। ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
  • গ্রিন টিতে আছে ক্যাটাচিন নামক উপাদান, যা শরীরের বিভিন্ন উপকারে কাজ করে এবং পেটের মেদ কমাতেও ভূমিকা রাখে।
  • গ্রিন টিতে থাকা থিয়ানিন নামক অ্যামাইনো এসিড অবসাদ বা ডিপ্রেশন কমাতে ভূমিকা রাখে।
  • গ্রিন টির উপাদান মস্তিষ্কের জন্যও স্বাস্থ্যকর। এটি স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায় এবং তথ্য সংরক্ষণে সাহায্য করে।
  • গ্রিন টি শরীরের ধমনী পরিষ্কার রাখে। এটি হার্টের ব্লকেজের ঝুঁকি কমায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়।
  • উচ্চরক্তচাপের করে সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে গ্রিন টি।
  • নিয়মিত গ্রিন টি পানে দাঁত ক্ষয়ের ঝুঁকি কমে।

সতর্কতা

উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত কোনো কিছুই শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই দিনে ২-৩ কাপের বেশি গ্রিন টি খাওয়া ঠিক নয়। অতিরিক্ত গ্রীন টি খেলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার রাতে পান করলেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই রাতে গ্রিন টি না খাওয়াই ভালো।

 

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

2h ago