মহেশখালী ভ্রমণ: কীভাবে যাবেন, কী দেখবেন, খরচ কত
![মহেশখালী ভ্রমণ মহেশখালী ভ্রমণ](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/02/07/capturebbrr_0.jpg?itok=L4F2c3yz×tamp=1707312304)
দীপাঞ্চল ভ্রমণ মানেই বিচ্ছিন্ন কোনো ভূখণ্ডে সাগর ও আকাশের দিগন্তরেখায় অর্ধচন্দ্র ডিঙি নৌকার মিলিয়ে যেতে দেখা। যেখানে ঢেউয়ের পিঠে চেপে যাযাবর পলিমাটি ঠিকানা খুঁজে পায় প্রাণবন্ত গ্রামগুলোর কাঁচা সৈকতে। বঙ্গোপসাগরের সংস্পর্শে থাকায় সবুজ বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরাও পরিচিত এমন দৃশ্যের সঙ্গে।
তবে দেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ হওয়ার বিশেষত্বটা মহেশখালীকে আলাদা করেছে আর সব উপকূলবর্তী অঞ্চল থেকে। শুধুই কি পাহাড়ের চূড়া থেকে পাখির চোখে দ্বীপ দর্শন! এখানে আছে দেশের অকৃত্রিম সব সৌন্দর্যের উপাদান।
চলুন বাংলাদেশের এই ল্যান্ডমার্ক দর্শনীয় স্থান মহেশখালী দ্বীপে ভ্রমণের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
মহেশখালীর ভৌগলিক অবস্থান ও বিশেষত্ব
চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত প্রশাসনিকভাবে স্বীকৃত এক উপজেলা মহেশখালী। ৩৬২ দশমিক ১৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলাটি মহেশখালী, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী ও ধলঘাটা- এই চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত।
এর পূর্বে রয়েছে কক্সবাজার সদর ও চকরিয়া উপজেলা এবং পশ্চিমে কুতুবদিয়া উপজেলা ও বঙ্গোপসাগর। উত্তরে চকরিয়া উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর ও কক্সবাজার সদর উপজেলা।
![মহেশখালী ভ্রমণ মহেশখালী ভ্রমণ](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/02/07/captureh99.jpg?itok=-Ufqd9sP×tamp=1707312344)
মহেশখালীর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মিষ্টি পানের সুখ্যাতি। সেই সঙ্গে চিংড়ি, লবণ ও মুক্তা চাষের জন্যও স্থানটি দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে পরিচিত।
১৫৫৯ সালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সৃষ্টি হয় মহেশখালী দ্বীপ। এর পাদদেশে প্রবাহিত চ্যানেল এবং পূর্ব প্রান্ত দিয়ে উত্তর দক্ষিণমুখী পাহাড় এখনও সেই সংযুক্তির চিহ্ন বয়ে চলেছে।
জনতা বাজার নামক জায়গাটিতে নতুন নির্মিত হওয়া মহেশখালী সেতু বর্তমানে মূল মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে দ্বীপের সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করছে।
মহেশখালী দ্বীপের নামকরণের ইতিহাস
লোকমুখে দ্বীপের নাম নিয়ে এক মজার গল্প প্রচলিত আছে। অনেক আগে ছোট মহেশখালীতে (যার স্থানীয় আরেক নাম চরপাড়া) নূর মোহাম্মদ সিকদার নামের এক প্রভাবশালী লোকের বসবাস ছিল। তার ছিল পাহাড়ে হরিণ শিকারের শখ। একদিন হরিণ শিকারে বেরিয়ে সারা দিন ধরে কোনো শিকার না পেয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তিনি। একটি গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিতে গিয়ে প্রায় ঘুমিয়ে পড়তে যাচ্ছিলেন।
আচমকা এক শব্দে তার তন্দ্রা ছুটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে শব্দ অনুসরণ করে তাকাতেই তিনি লক্ষ্য করেন, শব্দটি আসছে একটি গাভীর নিকট থেকে। গাভীটি একটি মসৃণ পাথর খণ্ডের উপর নিজ বান থেকে দুধ ঢালছে। নূর মোহাম্মদ অবাক হয়ে খেয়াল করেন, এই গাভীটি তারই গোয়ালঘর থেকে কিছুদিন আগে হারিয়ে গিয়েছিল।
![মহেশখালী মহেশখালী](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/02/07/58d3a533-2b5a-4a6d-8650-9067eb1c638f.jpg?itok=66xtrlVu×tamp=1707312509)
যাহোক, পরে গাভী আর সেই সুন্দর পাথরের খণ্ডটি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন নূর মোহাম্মদ। সেদিন রাতে তিনি স্বপ্নে এক মহাপুরুষের সাক্ষাৎ পান। স্বপ্নে সেই মহাপুরুষ তাকে বলছিলেন, এই পাথর খণ্ডটি যে সে বস্তু নয়; এটি একটি দেব বিগ্রহ। এই বিগ্রহ যেখান থেকে নিয়ে আসা হয়েছে সেখানেই রেখে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, এর ওপর নির্মাণ করতে হবে একটি মন্দির, যার নাম হবে আদিনাথ।
এই আদিনাথ মানে হচ্ছে হিন্দু দেবতা শিব, যার ১০৮টি নামের একটি হচ্ছে 'মহেশ'। শিবের এই নামের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তীতে অঞ্চলটির নাম হয়ে যায় মহেশখালী।
এছাড়া স্থানীয়দের অনেকেই মনে করেন, প্রায় ২০০ বছর আগে থেকে জায়গাটি মহেশখালী নামে পরিচিতি লাভ করে আসছে। নামকরণটা হয়েছিল বৌদ্ধ সেন মহেশ্বরের মাধ্যমে।
মহেশখালীর দর্শনীয় স্থান
কিংবদন্তির সেই আদিনাথ মন্দির এখন সাগরবেষ্টিত মহেশখালী দ্বীপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৫ দশমিক ৩ মিটার বা ২৮০ ফুট উঁচুতে মৈনাক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরটিতে উঠতে হয় ৬৯টি সিঁড়ি বেয়ে। এই উচ্চতা থেকে চারপাশে দ্বীপের প্রায় পুরোটাসহ চোখে পড়ে ম্যানগ্রোভ বন, পানের বরজ ও ফেনীল বঙ্গোপসাগর।
![আদিনাথ মন্দির আদিনাথ মন্দির](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/02/07/e49daaa7-0247-4bd5-a422-46b961821a57.jpg?itok=Su4Db_cM×tamp=1707312662)
প্রতি বছর ফাল্গুনে এখানে গোটা অর্ধমাসজুড়ে চলে শিব চতুর্দশী মেলা। এ সময় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে ভিড় জমান হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মন্দিরে দেখা মেলে বিরল প্রজাতির এক পারিজাত ফুলগাছের, যেটিকে মনে করা হয় সকল মনস্কামনা পূরণাকারী।
মূল মন্দিরের পেছনে রয়েছে দুটি পুকুর, এত উচ্চতায় থাকার পরেও যেগুলোর পানি কখনোই শুকায় না। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই পুকুর দুটির মধ্যে একটিতে গোসল করলে যে কোনো রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
শুটিং ব্রিজ নামের নান্দনিক একটি ব্রিজ রয়েছে এখানে, যেটি দিয়ে চলে যাওয়া যায় ওপারের ঝাউবাগান ও চরপাড়া সৈকতে। যাওয়ার সময় ব্রিজের দুই পাশে দেখা মেলে গোলপাতা, সুন্দরী বন, পানের বরজ ও লবণের মাঠ।
মহেশখালীর আরও একটি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে এর ডকইয়ার্ডের অদূরে গরকঘাটায় অবস্থিত রাখাইনপাড়ার বৌদ্ধবিহারটি। এর সীমানার ভেতর রয়েছে তামায় গড়া একই রকম দেখতে দুইটি প্যাগোডা, কয়েকটি ভবন এবং বিশালাকৃতির বেশ কিছু বৌদ্ধমূর্তি।
বিহারটি বছরের বিভিন্ন সময়ে নানান ধরনের ধর্মীয় উৎসবে মুখরিত থাকে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা। এ ছাড়া রাখাইন নববর্ষ বা সাংগ্রাই উৎসব এবং ফানুস বাতি উড্ডয়ন পর্যটকদের বেশ আকৃষ্ট করে।
সৈকতপ্রেমীরা জীবনে একটিবারের জন্য হলেও যেতে চাইবেন মহেশখালীর সমুদ্র সৈকতে। প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সৈকতের সাদা বালুতে পা ডুবিয়ে পাশের নীল জলরাশি, প্যারাবন এবং সুউচ্চ ঝাউবনের দৃশ্য সারা জীবনের প্রিয় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। এমনকি সাঁতার, ডাইভিং, কায়াকিং এবং ওয়াটার স্কিইংয়ের মতো আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও রাখা হয়েছে এই সৈকতে।
মহেশখালীর বিখ্যাত মিষ্টি পান খেতে হলে যেতে হবে দ্বীপের ১ নম্বর জেটি ঘাটে। এ ছাড়া দ্বীপের ভেতরে দেখার মতো আরও আছে লিডারশীপ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ক্যাম্পাস, উপজেলা পরিষদ দীঘি, গোরকঘাটা জমিদারবাড়ী, চিংড়ি ঘের, লবণ মাঠ, শুঁটকি মহাল এবং মুদির ছড়ার ম্যানগ্রোভ বন।
![মহেশখালী মহেশখালী](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2024/02/07/f21f7b62-d0eb-4621-8057-baf0509c3e08.jpg?itok=_MpGeVTa×tamp=1707312757)
মহেশখালী ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুর্যোগপ্রবণ থাকে এই অঞ্চলটি। তাই এই মাসগুলোকে উপেক্ষা করে সারা বছরই ঘুরতে যাওয়া যায় এই পাহাড়ি দ্বীপে। তবে এখানে ভ্রমণের সেরা সময় হচ্ছে শীতের শুরু এবং বসন্তের সময়টা। ঠান্ডা রোদ আর শিশির ভেজা বালুকাবেলার সঙ্গে পূর্ণিমা রাত ও ফানুস উৎসব ভ্রমণের আনন্দকে পূর্ণতা দিবে।
তবে বৌদ্ধ পূর্ণিমার উৎসবে অংশ নিতে হলে যেতে হবে মে মাসে, আর রাখাইন নববর্ষ উচ্ছাসে শামিল হতে চাইলে যেতে হবে এপ্রিল মাসে।
ঢাকা থেকে মহেশখালী দ্বীপ যাওয়ার উপায়
মহেশখালীতে যাওয়ার চিরাচরিত এবং রোমাঞ্চপ্রিয়দের জন্য প্রিয় পথটি হচ্ছে কক্সবাজারের সমুদ্রপথটি। এর জন্য সড়ক, রেল কিংবা আকাশপথে প্রথমে কক্সবাজার আসতে হবে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ি, মালিবাগ, কলাবাগান, ফকিরাপুল, মহাখালী অথবা গাবতলী থেকে পাওয়া যাবে কক্সবাজারের বাস। মানভেদে এগুলোর সিট ভাড়া নিতে পারে মাথাপিছু ৯০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
২০২৩ এর ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস রেলপথ চালু হয়েছে। মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহের বাকি ৬দিন শুধুমাত্র চট্রগ্রামে যাত্রা বিরতি দিয়ে চলাচল করে এই ট্রেন। শোভন চেয়ারে জনপ্রতি ৬৯৫ টাকা আর স্নিগ্ধাতে জনপ্রতি ১ হাজার ৩২৫ টাকা ভাড়ায় পুরো যাত্রায় সময় লাগে ৯ ঘণ্টা।
মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রার সম্পন্ন করতে চাইলে আকাশপথে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে বিমান ভাড়া বাবদ খরচ হতে পারে সিটপ্রতি ৪ হাজার ৫৯৯ থেকে শুরু করে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ন্যূনতম ১ মাস হাতে নিয়ে অগ্রিম টিকেট বুকিং দেওয়া হলে মূল্যে বেশ কিছুটা ডিস্কউন্ট পাওয়া যেতে পারে।
কক্সবাজার শহরে পৌঁছে এবার সরাসরি চলে যেতে হবে মহেশখালী যাবার জেটি বা ৬ নম্বর ঘাটে। এখান থেকে স্থানীয় ট্রলার বা স্পিডবোটে জনপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা ভাড়ায় মহেশখালী পৌঁছে দেয়। বড় গ্রুপ হলে পুরো স্পিডবোট রিজার্ভ নেওয়া যেতে পারে। স্পিডবোটে সময় লাগতে পারে ২০ মিনিট, আর সেলুনৌকা বা ট্রলারে সময় নেবে ৪০ থেকে ৫০ মিনিট।
মহেশখালী যাওয়ার আরেকটি পথ হচ্ছে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম দিয়ে সড়কপথে চকরিয়া হয়ে যাওয়া। এ পথে চকরিয়ার বদরখালি হয়ে মহেশখালীতে প্রবেশ করতে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘণ্টা। যে জেটি থেকে মহেশখালীগামী নৌকা বা ট্রলারে উঠতে হবে সেটি চকরিয়া হয়ে যাওয়ার পথেই চোখে পড়বে।
মহেশখালী আসার পর এবার সবকিছু ঘুরে দেখতে রিকশা, অটো কিংবা ইজিবাইক ভাড়া করা যায়। পাহাড়ি দ্বীপটি একদিনেই ঘুরে দেখা সম্ভব, তাই দরদাম করে স্থানীয় যে কোনো পরিবহন ভাড়া করে নেওয়া যেতে পারে। দুইজন বা সলো ট্রাভেলার হলে রিকশাই ভালো, যেখানে ভাড়া নিতে পারে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। আর সংখ্যায় ৫ থেকে ৭ জন হলে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় অটো বা ইজিবাইক নিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
মহেশখালী ভ্রমণে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
স্বল্প দূরত্বের কারণে অধিকাংশ পর্যটক মহেশখালী ঘুরে থাকার জন্য কক্সবাজারেই ফিরে আসেন। এ কারণে মহেশখালীতে থাকার জন্য তেমন কোনো আবাসিক হোটেল নেই।
কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে অফ সিজনে বুকিং না দিয়ে গেলেও রুম পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। কিন্তু ডিসেম্বরের থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকদের অনেক বেশি চাপ থাকায় অগ্রিম বুকিং দিয়ে যাওয়াই ভালো।
এই হোটেলগুলোতে রাতযাপনের জন্য সর্বনিম্ন রুমপ্রতি ৮০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। অবশ্য অফ সিজনে এই ভাড়া অর্ধেকেরও নিচে নেমে যায়।
খাবারের বেলায়ও একই পন্থা অনুসরণ করতে হবে। কক্সবাজারে বেশ কিছু মানসম্মত খাবারের হোটেল আছে, যেগুলোতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যেই এক বেলা ভরপেট খাওয়া যায়।
তবে রোমাঞ্চপ্রেমীদের জন্য মহেশখালী দ্বীপে তাঁবুতে রাতযাপন করাটা দারুণ একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে।
আশপাশের দর্শনীয় স্থান
মহেশখালীতে গেলে অন্যান্য দ্বীপগুলোও ঘুরে দেখা যেতে পারে। বিশেষ করে সোনাদিয়া দ্বীপ দেশের জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান। প্যারাদ্বীপ নামে পরিচিতি এই অঞ্চলেও রয়েছে ম্যানগ্রোভ বন ও প্যারাবন। এ ছাড়া এটি বাংলাদেশের প্রধান শুটকি মাছ উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে সুপরিচিত।
মাতারবাড়ী দ্বীপের সমুদ্র সৈকতটিও বেশ সুন্দর। তাছাড়া এখানে রয়েছে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র।
ধলঘাটা দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ হাঁসের চর এবং শরইতলা সমুদ্র সৈকত।
দেশের সবচেয়ে দুর্যোগ-প্রবণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে থাকায় মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। শীতকালেও ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগে থেকে সেখানকার আবহাওয়ার ব্যাপারে সঠিক খবর নিতে হবে। সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় আবহাওয়ার হালকা পরিবর্তনও বেশ উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে দ্বীপের ওপর।
তাছাড়া বিচ্ছিন্ন ভূ-খণ্ড হিসেবে যে কোনো নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ নম্বরগুলো সঙ্গে রাখতে হবে। এ ধরনের জায়গা ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে দলবদ্ধভাবে যাওয়া।
শুধু তাই নয়, দর্শনীয় স্থানগুলোতে নির্জন জায়গাগুলো এড়িয়ে সাধারণ গ্রামবাসী বা অন্যান্য পর্যটকদের ভিড়ের মধ্যে থাকাটা শ্রেয়।
Comments