আলীকদমে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, ৩ উপজেলায় মেয়াদ বাড়ল

বান্দরবানের ৪ উপজেলায় অস্থায়ীভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। এরমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার আলীকদমের নাম প্রত্যাহার করা হলেও অপর ৩ উপজেলায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ৪ দিন বাড়ানো হয়েছে।
বান্দরবানে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
পার্বত্য জেলা বান্দরবান। ফাইল ছবি: মং মারমা

বান্দরবানের ৪ উপজেলায় অস্থায়ীভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। এরমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার আলীকদমের নাম প্রত্যাহার করা হলেও অপর ৩ উপজেলায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও ৪ দিন বাড়ানো হয়েছে।

সে হিসেবে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকবে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত।

গতকাল বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির সীমান্ত এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানের কারণে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদমে পর্যটক ভ্রমণের ওপর সর্বশেষ ৪ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। 

'মঙ্গলবার আবারও এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১২ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। তবে এবার তালিকা থেকে আলীকদম উপজেলাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।'

তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলমের ভাষ্য, 'নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অপেক্ষাকৃত কম দুর্গম হওয়ায় নীলগিরি, চিম্বুক, শৈলপ্রপাত, নীলাচল মেঘলা ও প্রান্তিক লেক এলাকার মতো পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকরা যেতে পারবেন। চাইলে এ ক্ষেত্রে পুলিশ তাদের সহযোগিতা করবে।'

এর আগে বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্ত এবং রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় যৌথ অভিযানের মধ্যে নিরাপত্তার কারণে রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ১৮ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষিদ্ধ করে প্রশাসন।

এরপর ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আরও ২ উপজেলা থানচি ও আলীকদমে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়। মাঝে এই ৪ উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

Post-August 5 politics: BNP, Jamaat drifting apart

The taunts and barbs leave little room for doubt that the 33-year-old ties have soured. Since the fall of Sheikh Hasina’s government on August 5, BNP and Jamaat-e-Islami leaders have differed in private and in public on various issues, including reforms and election timeframe.

7h ago