এই রমজানেই ছাড়তে পারেন ধূমপান, যা করতে হবে

আত্মসংযমের এই মানসিকতা যদি ধরে রাখা যায়, তাহলে রমজানের পর ধূমপান ছেড়ে দেওয়া অনেকটা সহজ হয়। 
এই রমজানেই ছাড়তে পারেন ধূমপান, যা করতে হবে
ছবি: সংগৃহীত

ধূমপায়ী ব্যক্তিদের রোজা রাখা অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ ধূমপান না করে থাকতে হয়। আত্মসংযমের এই মানসিকতা যদি ধরে রাখা যায়, তাহলে রমজানের পর ধূমপান ছেড়ে দেওয়া অনেকটা সহজ হয়। 

রমজানের সংযম কাজে লাগিয়ে কীভাবে ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন সে বিষয়ে আজকের লেখা। 

আপনি যদি এই রোজার মাসে ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করে থাকেন, আপনার উচিত হবে রমজান মাসজুড়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা যেমন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করা, ইফতার বা সেহেরি খাবার তৈরিতে সহায়তা করা এবং প্রার্থনা করা- এ কাজগুলো আপনাকে ব্যস্ত রাখতে সাহায্য করবে যা ধূমপান ছাড়তে খুবই সহায়ক। 

এর পাশাপাশি ইফাতারের পর বিভিন্ন শারীরবৃত্তিক কাজ যেমন- হাঁটা, ইফতারের পরে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা এবং ধূমপানকারী ব্যক্তিদের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে পারেন, এতে ধূমপান করা এড়ানো সম্ভব।

ধূমপান ত্যাগ করার জন্য রমজান মাস একটি উপযুক্ত সময়। রোজা রাখার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে এবং এই সুফলগুলো ধূমপান ছেড়ে দিয়েছেন এমন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লক্ষণীয়, যারা বর্তমানে ধূমপানমুক্ত জীবনধারা বজায় রাখছেন। এ ছাড়া সিগারেট না কিনে সঞ্চয় করা অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন সিগারেট ছাড়ার জন্য নিজেকে গিফট দেওয়া বা কোনো সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে টাকাগুলো অনুদানের মাধ্যমে সাহায্য করা। 

রমজান মাসে ধূমপান ত্যাগের মধ্যে অন্য কারও সিগারেট ছাড়ার চেষ্টায় আপনি হতে পারেন রোল মডেল। এর ফলে যারা ধূমপান বাদ দেওয়ার জন্য রমজান মাস বেছে নিয়েছিলেন তারাও এই সংকল্পে লেগে থাকার জন্য উৎসাহ বোধ করবেন। আপনার এই সফলতা আরেকজন ধূমপায়ী ব্যক্তিকে অনুপ্রেরণা দেবে, সাহস যোগাবে। 

অনেক মানুষই রোজা রাখার মাধ্যমে তাদের ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে সক্ষম হয়েছেন। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে 'কোল্ড টার্কি' কৌশল। তবে অনেক ধূমপায়ী ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিকোটিন ছাড়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অন্যের সাহায্য নিতে লজ্জা পাওয়া চলবে না।
ধূমপান ত্যাগ করা সহজ কাজ নয়। তবে নিজের ভালোর জন্য তামাকমুক্ত হতে চাইলে অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা, দৃঢ় সংকল্প, সচেতনতা থাকতে হবে এবং এটি করার জন্য আপনাকে একটি উপযুক্ত কারণ বেছে নিতে হবে। রোজা রাখা এই প্রক্রিয়ার একটি অংশ মাত্র। 

খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার ফলে রক্তে নিকোটিনের পরিমাণ কমে যায়, যা ধূমপায়ীদের এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করা অনেক সহজ করে দেয়। এখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, প্রায় সব ধূমপায়ী ব্যক্তিই ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধূমপান থেকে বিরত থাকতে পারেন। এটি প্রমাণ করে যে তারা চাইলেই ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগের চেষ্টা করতে পারেন। আর এতে তারা সফল হতেও সক্ষম।

 

অনুবাদ করেছেন ফাবিহা বিনতে হক

 

Comments