প্যারেন্টিং

সন্তানকে পড়তে শেখাবেন যেভাবে

শিশুকিশোর, প্যারেন্টিং, বই,
স্টার ফাইল ফটো

সন্তান এবার ৪ বছরে পা দিয়েছে। এই বয়সে ওর পড়তে শেখাটা খুব জরুরি। হয়তো বাড়িতে ছড়া, নাচ-গান ও মজার মজার অ্যাক্টিভিটি শিখছে। এসবের সঙ্গে পড়তে শেখাটাও জরুরি। আবার শুধু শিখলেই হবে না, সেটিকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। কিন্তু, কাজটি মোটেও সহজ নয়।

এই যেমন পড়ার বই দেখলে সন্তান টিভি দেখার বায়না করে, কিছু লিখতে বললেই মোবাইলে ভিডিও দেখার বায়না করে। আপনি জোর করলে তাতে বিপত্তি আরও বাড়ে। শুরু করে চিৎকার, চেচামেচি। আসলে অধিকাংশ শিশুদের জন্য এটা খুবই স্বাভাবিক। তারা দীর্ঘ সময় বসে পড়তে চায় না। তাই বইয়ের একই অক্ষর, শব্দ বা ছবি দেখে প্রতিবাদ জানায়, জিদ করে। তাই শিশুকে পড়তে শেখানো শুরুর আগে নিজেদের কিছু নিয়ম-কানুন শিখে নিতে হবে।

সন্তান আপনার কথা বুঝতে শুরু করলেই, ওকে বই পড়ে শোনাতে শুরু করুন। দিনে অন্তত ১৫-২০ মিনিট বড় বড় অক্ষরে লেখা ছোটদের মজাদার বই থেকে ওকে গল্প, ছড়া পড়ে শোনান। প্রয়োজনে কিছুটা অভিনয়ও করে দেখান। পড়া শেষে বইটা ওকে দিয়ে দিন। ওকে কিছু প্রাণির নাম বলুন, তারপর বই থেকে মিলিয়ে আপনাকে দেখাতে বলুন। অবসরে ও যখন খেলবে আপনি তখন বই পড়ুন। তাহলে আপনাকে দেখে ও বুঝতে পারবে বই পড়া জরুরি বিষয় এবং নিজেও আগ্রহী হবে।

আমাদের অনেকের ভুল ধারণা আছে যে, শিশুরা পড়তে শেখে চোখের সাহায্যে। কিন্তু, পড়া শুরু যে কান দিয়ে হয় তা আমার ভুলে যাই। বই-খাতা নিয়ে পড়তে না বসে ওকে গান গেয়ে বা ছড়া বলে অক্ষর চেনান। সহজ শব্দ ভেঙে বানান করে অক্ষরের উচ্চারণ বোঝান। আটার দলা দিয়ে দু'জন মিলে অক্ষরগুলো তৈরি করুন এবং শব্দ বানান। যেসব শব্দ সে শিখেছে সেগুলোর সঙ্গে মিলে যায় এমন ছবি আঁকতে দিন। এভাবে পড়ালেখা শেখার সঙ্গে সময়ও কেটে যাবে।

এসময় শিশুদের শেখার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি প্রখর হওয়ায় সবকিছু দ্রুত শিখতে পারবে। ওকে নিয়ে যখন বেড়াতে যাবেন তখন আশপাশের জিনিস চেনান, বানান বলে দিন। বেশি বকাবকি করবেন না, মনে রাখবেন বেশি বকলে সন্তান শেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

Comments

The Daily Star  | English

Chief Adviser Yunus to call for national unity

He will hold meetings with all political parties to this end tomorrow

5m ago