যে উপকারিতাগুলো জানলে চিচিঙ্গা ও ঝিঙা খেতে চাইবেন

চিচিঙ্গা ও ঝিঙার পুষ্টিগুণ
ছবি: সংগৃহীত

সবজি হিসেবে চিচিঙ্গা ও ঝিঙা অত্যন্ত উপকারি এবং সহজলভ্য। অনেকেই এ সবজিগুলো পছন্দ করেন না। কিন্তু এগুলোর রয়েছে নানা পুষ্টি উপাদান। চিচিঙ্গা ও ঝিঙার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি।

চিচিঙ্গার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন বলেন, গরমে সবজি হিসেবে চিচিঙ্গা বেশ পরিচিত। সহজলভ্য এই সবুজ রঙের সবজিটির পুষ্টিগুণেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পুষ্টির দিকে বিবেচনা করলে প্রতি ১০০ গ্রাম চিচিঙ্গায় ১৭ কিলোক্যালরি হওয়ায় ওজন বাড়ানো এবং অন্য যেকোনো ক্যালরি সংক্রান্ত বিষয়ে এটি খুব একটা অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় না।

চিচিঙ্গায় প্রায় ৯৫% পানি রয়েছে। এছাড়া ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফাইবার বা আঁশযুক্ত চিচিঙ্গাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ সবজি হিসেবে ধরা যায়।

চোখের এবং ত্বকের যত্নে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সবজি বা ফল কোনটি খাবেন সেটি অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। চিচিঙ্গা ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বক ও চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য চিচিঙ্গা অত্যন্ত উপযোগী একটি সবজি, চিচিঙ্গা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। কিডনি রোগীরা অনেক সময় পটাশিয়ামযুক্ত সবজির বিষয়টি মাথায় রেখে খাদ্যতালিকা থেকে অনেক সবজি বাদ দেন। সেক্ষেত্রে তারা দানা ফেলে দিয়ে চিচিঙ্গা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। চিচিঙ্গা ওজন কমাতে সহায়তা করে।

ঝিঙার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন বলেন, ঝিঙা গরমকালে ভালো পরিমাণেই পাওয়া যায়। গাঢ় সবুজ রঙের ঝিঙা লিভারের জন্য বেশ উপকারী ভূমিকা রাখে। ঝিঙাতে ফাইবার বা আঁশ যথেষ্ট পরিমাণ থাকায় এটি কোষ্টকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে। এছাড়া যাদের পাইলসের কোনো সমস্যা রয়েছে তাদের খাদ্যতালিকায় ঝিঙা রাখা যেতে পারে।

প্রতি ১০০ গ্রাম ঝিঙা থেকে ২০ কিলোক্যালরি পাওয়া যায়। ঝিঙা পানিযুক্ত সবজি। এতে ৯৪ থেকে ৯৫ শতাংশ পানি রয়েছে। ঝিঙাতে ফাইভার বা আঁশ, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি রয়েছে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ।

যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো অর্গানিজম বা অনুজীব, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস অতি দ্রুত আক্রমণ করতে পারে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য ঝিঙা খুবই উপকারী। কারণ ঝিঙা ইমিউনিটি বুস্টার অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে খাদ্যতালিকায় ঝিঙা রাখা যেতে পারে। এছাড়া অনেক সময় শরীর ডিটক্সিফাই বা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করার প্রয়োজন হয়। শরীরে টক্সিন জমে গেলে ঝিঙা রক্তে টক্সিনের মাত্রা কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

 

Comments