কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে সুস্বাদু চিংড়ি কষা
বাঙালি ভোজনরসিক। তাই কাঁচা কাঁঠালকেও পাতে এনেছে। কাঁচা কাঁঠাল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটিকে রান্না করা যায় কয়েকভাবে। তবে কাঠাঁল দিয়ে চিংড়ি কষা সবচেয়ে মজাদার আর জনপ্রিয় রেসিপিগুলোর মধ্যে একটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে সুস্বাদু চিংড়ি কষার রন্ধন প্রণালি।
প্রথমে কাঁঠালের ভেতরে অংশটা কেটে নিতে হবে। কাঁচা কাঁঠাল কাটার আগে হাতে আর বটিতে ভালো করে সর্ষের তেল মাখিয়ে নিলে কাঁঠালের আঠা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই। টুকরো করে কাটা কাঁঠাল সামান্য হলুদ আর লবণ দিয়ে আধা সেদ্ধ করে নিতে হবে। অপরদিকে ছোট চিংড়ি লবণ আর হলুদ দিয়ে ভেজে নিতে হবে। দেড় কেজি পরিমাণ কাঁঠালের জন্য এক কাপ ছোট চিংড়ি যথেষ্ট।
এই রান্নাটা সর্ষের তেলে করলেই জমে ভালো। আধা কাপ তেলে দুটি এলাচ, দারচিনি, দুটি তেজপাতা ভেজে নিতে হবে যতক্ষণ না সুন্দর গন্ধ ছড়াচ্ছে। এবার এক কাপ পরিমাণ পেঁয়াজ, এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক চা চামচ রসুন বাটা, মরিচের গুঁড়ো স্বাদমতো, এক চা চামচ হলুদের গুঁড়ো দিয়ে খুব ভালো করে ভাজতে হবে। মসলার কাঁচা গন্ধ চলে গেলে এতে দিতে হবে টমেটোর পেস্ট। আবার কষাতে হবে। এবার লবণ, এক টেবিল চামচ ধনে গুঁড়ো, একটা চা চামচ জিরা গুঁড়ো দিয়ে আবার কষাতে হবে। এই রান্নায় মসলা যত কষানো হবে ততই রান্নার স্বাদ বাড়বে।
মাঝে মাঝে অল্প করে পানি দিন। এতে করে মসলা পুড়বে না। ধীরে ধীরে মসলা থেকে তেল বের হতে থাকবে। এই পর্যায়ে দিয়ে দিতে হবে সেদ্ধ করা কাঁচা কাঁঠাল। ফের কষাতে থাকুন। তারপর এতে দিয়ে দিতে হবে ভাজা চিংড়িগুলো। রান্নার রং সুন্দর লালচে হয়ে গেলে দেখবেন তা থেকে তেল আলাদা হচ্ছে। এবার এতে দিয়ে দিন এক কাপ পরিমাণ পানি। সমস্ত কিছু যখন মাখোমাখো হয়ে যাবে তখন ভাজা গরম মসলা আর এক টেবিল চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে দমে দিন মিনিট পাঁচেক।
কাঁঠাল চিংড়ি এতটাই মজা যে খুন্তি দিয়ে নাড়ানাড়ি আর কাটাকাটির ঝামেলা একবার মুখে দিলেই ভুলে যাবেন। ভাত, রুটি, পরোটা, পোলাও সবকিছু দিয়েই গরম গরম কাঁঠাল চিংড়ি ভালো লাগে।
Comments