সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের মাঝে খিদে পেলে কী খাবেন

সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের মাঝে খিদে পেলে কী খাবেন
ছবি: সংগৃহীত

সকালের নাশতার পর দুপুরের খাবারের মাঝখানে অনেকটা সময়। ভারী দুই খাবারের মধ্যবর্তী এই সময়টাতে ক্ষুধা লাগলে বেশিরভাগ মানুষই ভাজাপোড়া খেয়ে ফেলেন, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

এগুলোর বদলে কী খাওয়া যেতে পারে জেনে নিন পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশির কাছ থেকে।

পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন বলেন, সকালের নাশতা এবং দুপুরের খাবারের মাঝখানে ক্ষুধা লাগতে পারে। এই সময়ের জন্য এমন খাবার বাছাই করতে হবে, যাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি না থাকে। অনেক সময় তেলে ভাজা বিভিন্ন খাবারের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে দেখা যায়। যেমন- শিঙাড়া, সমুচা, ফ্রাইড ফুড খেতে পছন্দ করেন অনেকেই, যা একেবারেই ঠিক নয়। এসব খাবার খেলে ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাসিডিটির সমস্যাও বাড়ে।

যা খেতে পারেন

১. দুপুরের খাবারের আগের সময়টাতে অথবা বিকেলেও স্ন্যাকস হিসেবে পেয়ারা খেতে পারেন। পেয়ারায় রয়েছে ভিটামিন সি, বি ভিটামিন, ফাইবার, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ পেয়ারা পেটের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, দাঁতের মাড়ি শক্ত রাখতে সাহায্য করে।

২. বাদাম খাওয়া যেতে পারে। বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, রিবোফ্লাভিন নায়াসিন ও প্রোটিন। যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ ডায়েটে আছেন তাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে বাদাম হতে পারে হালকা স্ন্যাকস। বারবার ক্ষুধা লাগার সমস্যা এবং কোনো খাবারের প্রতি তীব্র আকর্ষণ বা ফুড ক্রেভিং কমাতে এটি সাহায্য করে। প্রজনন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে, চুল পড়া রোধেও বাদাম কার্যকরী।

৩. মুরগি বা ডিমের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সবজি মিশিয়ে স্যুপ তৈরি করেও খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রোটিন ও ডায়েটারি ফাইবার, কোলিন, বায়োটিন পাওয়া যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে, ত্বক ভালো রাখতে দুপুরের আগে অথবা বিকেলে স্যুপ হতে পারে সেরা স্ন্যাকস।

৪. শসায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস। শসা লো ক্যালরির হওয়ায় পরিমাণে বেশি খেলেও সমস্যা হয় না। তবে হজম ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে কে কতটুকু খেতে পারবেন।

এ ছাড়া শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি। তাই ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধে, ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষায় এটি বেশ ভালো কাজ করে। তাই সকালে নাশতার পর ও দুপুরের খাবারের আগে স্ন্যাকস হিসেবে শসা খেতে পারেন।

৫. গরমের এই সময়টাতে বাজারে প্রচুর কাঁচা আম পাওয়া যায়। কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, জিঙ্ক। গরমের কারণে প্রচুর ঘামাচি ও র‌্যাশ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যাদের বাইরে কাজ করতে হয় তাদের প্রচুর ঘাম হয়, এ ছাড়া গরমে অনেকের খাবারের প্রতি রুচি থাকে না। তাই এসব বিবেচনায় মধ্য সকালের নাশতা হিসেবে কাঁচা আমের তৈরি বিভিন্ন আইটেম বা শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। এটি লো ক্যালরির হওয়ায় ওজন নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Economic expectations: Did govt fall short?

When an interim government was sworn into office following the ouster of the Awami League regime just 100 days ago, there was an air of expectation that the Prof Muhammad Yunus-led administration would take steps to salvage a scam-ridden financial sector and rescue an ailing economy.

8h ago