আন্তর্জাতিক নারী দিবস

আমরা কি বলতে পারি না ‘টিপ ইজ মাই চয়েস’

আজকাল বিভিন্ন তত্ত্ব দিয়ে মানুষের পোশাক, স্টাইল, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে যেকোনো আনন্দ উদযাপণকে মোটামুটি একটা ছক বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। 
আমরা কি বলতে পারি না ‘টিপ ইজ মাই চয়েস’
মডেল সিম্মি। ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

একজন মেয়ে বা নারী কী পোশাক পরবেন? কীভাবে সাজবেন? কীভাবে চুল বাঁধবেন, কোন ব্যাগ হাতে নেবেন? কী জুতা পায়ে গলাবেন, এটা একান্তই তার নিজের পছন্দ। এই দশকে এসে, স্বাধীনতার ৫১ বছর পর নারীর সাজসজ্জা, চলাফেরা নিয়ে কথা বলাটা অপ্রাসঙ্গিক ও অনভিপ্রেত।

আজকাল বিভিন্ন তত্ত্ব দিয়ে মানুষের পোশাক, স্টাইল, চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে যেকোনো আনন্দ উদযাপণকে মোটামুটি একটা ছক বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। 

এবার হাত পড়েছে খুব ব্যক্তিগত একটি প্রসাধন সামগ্রী টিপ নিয়ে। বহুবছর ধরে চলে আসা নারীর টিপ দেওয়ার অধিকারকে যখন একজন পুলিশ কনস্টেবল প্রশ্নবিদ্ধ করে (এপ্রিল, ২০২২) তখনই প্রগতিশীল মানুষ থমকে যায়। তার এই দুষ্কর্ম সবাইকে বিস্মিত করে, প্রতিবাদের ঝড় উঠে বিভিন্ন পক্ষ থেকে। বাঙালি হিসেবে একজন বাঙালি নারীর টিপ দেওয়াটা তার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। সেই ষাট ও সত্তরের দশকে আমার মাকে টিপ দিয়ে সাজতে দেখেছি। শুধু আমার মা নন, আজকে যে মায়েরা হিজাব পরছেন, তাদেরও টিপ পরা ছবি আমরা দেখেছি। পরিবার ও পরিচিতজনদের মধ্যে অনেকেই টিপ দেন। আমিও টিপ দেই প্রতিদিন, এর সঙ্গে আমার ধর্ম চলে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই বলে আমরা মনেকরি। এই প্রেক্ষিতেই বলতে হচ্ছে টিপ নিয়ে কথা বলাটাই খুব অবান্তর। কিন্তু যখন বাধা আসে, তখন জানতে হবে টিপের উৎপত্তি ও ব্যবহার। 

আমরা কি বলতে পারি না ‘টিপ ইজ মাই চয়েস’
মডেল সিম্মি। ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

এদেশে টিপ ছিল সাজসজ্জার একটি একটি অনুষঙ্গ। সব ধর্ম ও সব শ্রেণির নারীদের মধ্যেই এই রীতি চালু ছিল। মা-চাচিদের দেখেছি গুঁড়া টিপ বা কুমকুমের টিপ ব্যবহার করতে। একটা সময় লাল টিপটা দেওয়া হতো সিঁদুর গুড়া দিয়েই। কাজল দিয়েও টিপ দেওয়া হতো। এরপর এলো আঠা দেওয়া ভেলভেটের টিপের পাতা, এটাই এখনো চলছে। বিভিন্ন সাইজের, বিভিন্ন রকমের, বিভিন্ন রং এর।  

শিফন, জর্জেট শাড়ি, লেহেঙ্গা অথবা সালোয়ার কুর্তার সঙ্গে স্টোনের কাজ করা জমকালো টিপও পরেন অনেকে। কাপড়ের টুকরো বা অন্য কিছু দিয়ে বানানো ডিজাইনার টিপও আজকাল চলছে। এখন যেসব পোশাক বা সাজসজ্জা বা স্টাইল বাংলাদেশে জনপ্রিয় এগুলো কোনটাই আদি বাঙালিয়ানা নয়। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের, বিশেষ করে ভারতীয় সাজের একটা মিশ্রণ। অবশ্য ফ্যাশন বিষয়টা এমনই।  

আশির দশকে আমরা যখন ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম, তখন প্রায় সব মেয়েরাই টিপ দিতো শাড়ির সঙ্গে। আমরা প্রতিটি অনুষ্ঠানে শাড়ি পরে, টিপ, কাজল দিয়ে সাজতাম, চুড়ি পরতাম, চুলে ফুল গুজতাম, মেহেদি দিতাম, আলতা দিতাম পায়ে। এ ছাড়া কবিতা পড়তাম, গান গাইতাম, ঘুরতাম, বেড়াতাম। কলেজেও তাই করেছি। হঠাৎ করে কি এমন হলো যে টিপ দেওয়াটা শরমিন্দার হয়ে গেল। টিপ দিলে জাত চলে যাচ্ছে এরকম একটা সুর তোলা হচ্ছে এখন। সংবিধান আমাকে আমার মতো করে সাজার অধিকার দিয়েছে। এখানে রাষ্ট্র কিংবা কোনো বাহিনী সে অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। আমি হিন্দু না মুসলমান, নাকি বৌদ্ধ বা খ্রিষ্টান এটা আমার সাজগোজের ক্ষেত্রে কোন বিচার্য বিষয় নয়। নিজের ইচ্ছায় সাজাটা আমার অধিকার। 

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, 'হাজার হাজার বছর ধরেই বিশ্বের অনেক দেশের নারীদের মধ্যে টিপ পরার রীতি চালু রয়েছে। এটা শুধু বাঙালি জাতির বা হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো ব্যাপার ছিল না। আঠারো শতকে তো টিপের ব্যবহার খুব সাধারণ হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে তখনকার ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বার্মা, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়ার নারীরা টিপ ব্যবহার করতেন।' তার মতে, ইসলামেও টিপ পরা নিষিদ্ধ করা হয়নি। যারা নিয়মিত টিপ ব্যবহার করেন, তারা অনেকেই মনেকরেন একটা টিপ তার নিজস্ব স্টাইল, যা একজন নারীর মেকআপ, গেটআপ পুরো বদলে দিতে পারে। বাঙালি যারা প্রবাসে থাকেন, তারা কিন্তু সবাই টিপ পরেন না। যারা পরেন তারা তাদের নিজস্ব এক ধরণের স্টাইল ফলো করেন।  

আমরা কি বলতে পারি না ‘টিপ ইজ মাই চয়েস’
মডেল সিম্মি। ছবি: সাজ্জাদ ইবনে সাঈদ

আমি নিয়মিত টিপ পরি। টিপ পরে বিদেশে যখন যেখানে গেছি, বিদেশিদের সবার দৃষ্টি পড়েছে টিপের দিকে। অনেকেই জানতে চেয়েছেন টিপ প্রসঙ্গে। ৮-১০ বছর আগে ইস্তানবুলে ২ জন অপরিচিত বিদেশি নারী এসে জানতে চাইলেন আমি কোথা থেকে এসেছি। বললাম বাংলাদেশ। ওনারা জানালেন তোমার কপালের গোলাকার স্পট দেখে আমরাও তাই ভেবেছিলাম, হয় তুমি ভারতের নয় বাংলাদেশের। কারণ আমরা ওই সব দেশে ৮০-এর দশকে বেড়াতে গিয়ে এরকম ফোঁটা দেওয়া মেয়েদের দেখেছিলাম। টিপ দেওয়ার ইস্যুতে অনেকেই হিজাব ইস্যুকে টেনে আনছেন, যা একেবারেই অর্থহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এখানে হিজাব যারা পরছেন, সেটা তাদের অধিকার। ওনারা যেমন বলছেন, 'হিজাব ইজ মাই চয়েজ', আমরা যারা টিপ দিতে পছন্দ করি, তারাও বলতে পারি, 'টিপ ইজ মাই চয়েজ'।  

কোন নারী হিজাব পরেছেন বলে তাকে যেমন অপমান করা যায় না, ঠিক তেমনি নারী টিপ দিয়েছে বলেও তার শরীরে মোটরসাইকেল তুলে দেওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে শুধু একটা কথাই বলতে চাই, মুসকানকে যখন ভারতে হিজাব পরার জন্য নিগ্রহ করা হয়েছিল, তখন এই আমরাই, টিপ পরিহিতা বাঙালি নারী, মুসকানের হিজাব পরার অধিকারের পক্ষে কথা বলেছিলাম। 

কেউ কেউ বলেন টিপ দিলে মুসলমান হওয়া যায় না এবং বেহেশতে যাওয়া যাবে না। অথচ এই তথ্য তারা কোথায় পেয়েছেন বা ধর্মগ্রন্থের কোথায় আছে, তা কেউ দেখাতে পারবেন না। কারণ ইসলামের সেই যুগে টিপ পরার কোনো চল ছিল না। টিপ ভারতীয় উপমহাদেশের স্টাইল। এটা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ। এর সঙ্গে ধর্ম বিরোধিতার কোনো যোগ নেই। যদি থাকতো তাহলে পাকিস্তান আমলে বাঙালি মুসলিম নারীরা টিপ দিতে পারতেন না। টিপ ইসলামে নিষিদ্ধ বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে এ নিয়েও কথা আছে। 

ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুখতার আহমেদ বলেন, 'টিপ নিয়ে যে বিতকর্টি আমরা দেখছি, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে গেলে, একজন মুসলমান নারী টিপ পরতে পারবেন কি পারবেন না, এ ব্যাপারে স্পষ্ট কোনো দিক নির্দেশনা কোরান বা হাদিসে নেই।' 

'একজন নারী তার সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের অলংকার পরতে পারবেন। টিপও তার অলংকরণ বা সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য একটি উপকরণ হিসেবে তিনি ব্যবহার করতে পারবেন। টিপ পরা নিষিদ্ধ, এরকম কোনো বক্তব্য কোরান বা হাদিসে নেই।' 

টিপ পরার জন্য নারীকে অপদস্ত করায় নানাজন নানাভাবে এ ঘটনার  প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখে, কেউ টিপ পরা ছবি ফেইসবুকে দিয়ে, কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পুরুষদের কেউ কেউ টিপ পরে নারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এটাকে বলে প্রতিবাদের ভাষা। যারা ছেলেরা কেন টিপ পরছে এ নিয়ে কটাক্ষ করছেন, তারা আসলে প্রতিবাদের ভাষাটিও বুঝতে অক্ষম। এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার কিছু আছে বলে মনেকরি না। সুবর্ণা মোস্তফাসহ অনেকেই টিপ নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা ও নারীকে আক্রমণ করার ব্যাপারটি নিয়ে নিন্দা করেছেন। ২০২২, ৩ এপ্রিল, নিজের ফেসবুক ওয়ালে টিপ পরিহিত ৭টি ছবি পোস্ট করেন শিক্ষামন্ত্রী। ক্যাপশনে লেখেন, 'আমি মানুষ, আমি মুসলমান, আমি বাঙালি, আমি নারী।' 

২০১৩ সালে বিশ্ববিখ্যাত গায়িকা ও অভিনেত্রী সেলিনা গোমেজ কপালে টিপ পরে যখন তার সেই বিশ্ব কাঁপানো 'কাম অ্যান্ড গেট ইট' গানটি গেয়েছিলেন, সেটা দেখে ভারতের মৌলবাদী নেতা রাজন জেড খুব ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। তুমুল সমালোচনা করে বলেছিলেন, গায়িকা সেলিনা গোমেজ কপালে টিপ পরে গান গেয়ে ভীষণ গর্হিত কাজ করেছেন। কারণ কপালে টিপ পরা হিন্দু ধর্মে একটি ধর্মীয় রীতি এবং ফ্যাশনের অঙ্গসজ্জা হিসেবে টিপ ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।  

সে সময় রাজন জেডের সেই সমালোচনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বলিউডের নায়িকা প্রিয়াংকা চোপড়া। তিনি বলেছিলেন, 'টিপ পরার জন্য সেলিনা গোমেজকে নিন্দা না করে বরং তার প্রশংসা করা উচিত। কারণ ভারতীয় সংস্কৃতি ভালোবেসে সেটাকে আলিঙ্গন করেছেন তিনি।' অবশ্য এক সময় টিপের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে পুরুষ বা নারীদের শ্রেণি বা অবস্থান বোঝাতে টিপের ব্যবহার হতো বলে লিখেছেন জিয়াউল হক, তার 'ইতিহাসের অলিগলি' বইয়ে। 'কপালে টিপ বাঙালি তথা আধুনিক বাঙালি নারীর প্রাত্যহিক জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হচ্ছে।' 

তবে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম বলছেন, 'আঠারো বা উনিশ শতকের আগে অনেক সময় টিপ নারীদের শ্রেণি, মর্যাদা ইত্যাদির প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এরপর থেকে টিপ সবার কাছে সাধারণ সৌন্দর্য চর্চার একটি উপাদানে পরিণত হয়েছে।' বাঙালি সংস্কৃতিতে টিপের ব্যবহার নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর বলছেন, 'টিপকে এখন মানুষ সৌন্দর্য্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু এই টিপের একটা প্রতীকী ব্যাপার আছে। সেটা হচ্ছে, ব্যক্তির 'থার্ড আই' হিসাবে এটাকে চিহ্নিত করা হয়। এটা হচ্ছে দূরদৃষ্টি প্রকাশক। এটা সিম্বোলিক হয়ে ধীরে ধীরে টিপ-এ পরিণত হয়েছে।' 

অনেকে বাজে অভিসন্ধি নিয়ে টিপের প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করার জন্য খুব নিম্নমানের কাহিনী ছড়িয়েছে। এমনকি ফেইসবুকেও এই কাহিনী প্রচার করা হয়েছিল। তারা প্রচার করে, নমরুদ যখন হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে শাস্তি দিতে পারছিল না, তখন শয়তান নাকি নমরুদকে এই বুদ্ধি দেয় যে, ইব্রাহিম ছুঁড়ে ফেলা যন্ত্রের কাছে কিছু অসতী মেয়ে অর্থাৎ যৌনকর্মী এনে রাখতে, নমরুদ তাই করে, এর ফলে সেখানে ফেরেশতারা আর থাকতে পারে না এবং হজরত ইব্রাহিমকে সফলভাবে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা সম্ভব হয়। যৌনকর্মীদের কারণে এই কাজ করা সম্ভব হয়েছে বলে, তাদের নমরুদ বিশেষ পুরস্কার দেয় এবং তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের কপালে লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, সেই থেকে যৌনকর্মীরা নাকি কপালে লাল রং দিয়ে টিপ ব্যবহার করে। কোন ধর্মগ্রন্থে এই কাহিনী না থাকলেও, এই ধরনের মিথ্যা ঘটনা ইতিহাসে যুক্ত করার কারণ হলো মুসলিম মেয়েরা যাতে টিপ বা লাল টিপ প্রতি আকর্ষণ হারায়। 

সমাজকে যারা কলুষিত করতে চায়, সৌহার্দ্য নষ্ট করতে চায়, নারীকে শোষণ করতে চায় এবং কূপমণ্ডুক সমাজ গড়তে চায়, তারাই বাংলাদেশে টিপ বিতর্কের সৃষ্টি করে। সবার বোঝা উচিৎ জাতীয় সংস্কৃতি আর ধর্মীয় সংস্কৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর এই টিপ হচ্ছে বাঙালির সংস্কৃতিরই অংশ।

 

তথ্যসূত্র:  
বিবিসি বাংলা, ডয়েচে ভেলে, টিপ বিতর্ক ও বাঙালির টিপ পরার ইতিহাস: অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুখতার আহমেদ, এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, জিয়াউল হক এর 'ইতিহাসের অলিগলি' এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর দে। 
 

শাহানা হুদা রঞ্জনা, সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

 

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments