নারীর পোশাক নয়, রোবটিক্স নিয়ে কথা বলার সময় এখন: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘যখন বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমি রোবটিক্স নিয়ে কথা বলব। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কথা বলব। এখন নারীর পোশাকের দৈর্ঘ্য নিয়ে তো কথা বলার সময় না। এখন কপালে টিপ আছে কি নেই, এটা তো প্রশ্ন হতে পারে না।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'যখন বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমি রোবটিক্স নিয়ে কথা বলব। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কথা বলব। এখন নারীর পোশাকের দৈর্ঘ্য নিয়ে তো কথা বলার সময় না। এখন কপালে টিপ আছে কি নেই, এটা তো প্রশ্ন হতে পারে না।'

আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টাস অ্যাসোসিয়েন অফ বাংলাদেশের (ইরাব) সঙ্গে মতবিনিয়ম সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'এটা সত্য যে এক ধরনের সাম্প্রদায়িক আচরণ বিভিন্ন জায়গায় আমরা দেখছি। এখন হঠাৎ করে আবার আবার নারী শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে কথা হচ্ছে।এই বিষয়গুলো বাংলাদেশে খুব মীমাংসিত বিষয় ছিল। মীমাংসিত বিষয়গুলোকে কারা কাদের স্বার্থে অমীমাংসিত করছে এবং কারা এগুলো নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উত্থাপন করছে? যখন বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন আমি রোবটিক্স নিয়ে কথা বলব। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কথা বলব। এখন নারীর পোশাকের দৈর্ঘ্য নিয়ে তো কথা বলার সময় না। এখন কপালে টিপ আছে কি নেই, এটা তো প্রশ্ন হতে পারে না। '

তিনি আরও বলেন, 'এই ভূখণ্ড একটা মেল্টিং পট। এখানে সব ধরনের ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি। একটা সময় ছিল যখন এই ভূখণ্ডে ১৭টা ভাষা, ভাষাভাষী মানুষ ছিল। যে ভূখণ্ডে একটা ভাষাকে ভিত্তি করে একটা বিশাল আন্দোলন হয়ে রক্তপাতের মধ্যে দিয়ে একটা জাতিরাষ্ট্রের জন্মের সূচনা হলো এবং যেখানে এত রক্ত দিয়ে অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে, ধর্ম নিরপেক্ষতার পক্ষে একটা মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করলাম, সেই দেশে এটা তো মীমাংসিত বিষয়। যারা অমীমাংসিত করল, যারা আমাদের পুরো অর্জনটাকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল ৭৫ এ—  আজকে খুঁজে দেখেন, তাদের প্রতাত্মারাই এই নতুন নতুন প্রশ্নগুলোর জন্ম দিচ্ছে।'     

'বাঙালি মুসলমানের কাছে আমি আগে বাঙালি না আগে মুসলিম, এটা তো কোনো প্রশ্নের বিষয় না। আমি বাঙালিও, আমিও মুসলমানও। সেটাতে সমস্যাটা কী', যোগ করেন দীপু মনি।  

 

Comments