জাপানি নারীর বাড়িতে মিলল ১০০ বিড়ালের মরদেহ

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বাড়িতে ১০০ বিড়ালের মরদেহ খুঁজে পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ওই বাড়ির মালিক স্থানীয় একটি প্রাণিকল্যাণ সংগঠনের কর্মী।
স্থানীয় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
অ্যানিম্যাল অ্যাসিস্ট সেনজু নামের সংগঠনটি এ ঘটনার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছে। তাদের পোস্টে দেওয়া ছবিতে দেখা গেছে, বাড়িটিতে আবর্জনা স্তূপ জমে আছে।
পোস্টে সংগঠনটি উল্লেখ করে, ওই বাড়িটি আবর্জনায় ভরে ছিল। সেখানে সংগঠনের এক নারী কর্মী বাস করতেন।
তাদের দাবি, ওই নারী তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেননি। তিনি বিনা অনুমতিতে ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো আলাপ না করে নিজের বাড়িতে অসংখ্য বিড়াল রেখেছিলেন।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করেছে, ওই বাড়ি থেকে একটি বিড়ালকে উদ্ধার করা হয়, প্রথমে সেটি 'চেনা যাচ্ছিল না'। তার 'শরীরের চামড়া আংশিক তুলে নেওয়া হয়েছে এবং তার হাত-পায়ের থাবায় আবর্জনা লেগে ছিল।'
কুমামোতো শহরের প্রাণী সুরক্ষা কেন্দ্র আজ বুধবার এএফপিকে জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে ওই বাড়িতে 'প্রায় ১০০' বিড়ালের মরদেহ আছে।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃত বিড়ালের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
কুমামোতোভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অ্যানিম্যাল অ্যাসিস্ট সেনজু বলছে, তারা অ্যানিম্যাল শেল্টার থেকে কুকুর-বেড়াল উদ্ধার করে আনে। তারপর পোষা প্রাণী প্রতিপালন ইচ্ছুক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়। এভাবে ওই প্রাণিগুলো নতুন আবাসস্থল খুঁজে পায়।

আরেক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, 'আমাদের প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে নিয়েছে। মারা যাওয়ার আগে বিড়ালগুলোর যে নির্মমতা চলেছে, তা হয়তো কল্পনাতীত।'
ওই নারী ভবিষ্যতে আর কোনো বিড়াল নিজের কাছে রাখার অনুমতি পাবেন না বলে প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে।
তবে তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কী না, সেটা নিশ্চিত নয়।
এর আগে, গত সপ্তাহে একটি বিড়ালের মৃত্যুর খবর পেয়ে নগর কর্মকর্তা ও প্রাণী অধিকার স্বেচ্ছাসেবীরা দুইবার ওই জাপানি নারীর বাড়িতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। এরপর পূর্ণ মাত্রার খোঁজ ও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ওই বাড়ি থেকে ১২টি বিড়ালকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
কুমামোতোর প্রাণী সুরক্ষা কর্মকর্তা সুতোমু তাকিমোতো এই তথ্য জানান।
Comments