শুল্কের বোঝা এড়াতে ট্রাম্পের সঙ্গে শিগগির আলোচনা করতে চায় ইইউ

হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকেই আলোচনায় 'শুল্ক'। সম্ভাব্য-আসন্ন শুল্কের বোঝা এড়াতে নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শিগগির আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান মারোস সেফকোভিচ এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন।  

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ট্রাম্পের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে 'আগাম আলোচনার' অনুরোধ জানিয়েছিলেন সেফকোভিচ।

তবে ট্রাম্পের মনোনয়ন দেওয়া বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক এখনো আলোচনা বা বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি বলে তিনি জানান।   

ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান মারোস সেফকোভিচ । ছবি: রয়টার্স
ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান মারোস সেফকোভিচ । ছবি: রয়টার্স

সাংবাদিকদের সেফকোভিচ আজ বলেন, 'আমরা এ মুহূর্তেই আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি এবং আমরা আশা করছি, আগেভাগে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য-বিনিয়োগের সম্পর্কে বড় আকারে গোলযোগ দেখা দেওয়ার বিষয়টি এড়াতে পারব।'

ইইউর কর্মকর্তারা জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এখনো খুব একটা যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হননি তারা। কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, ট্রাম্প যাদেরকে শীর্ষপদে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাদের বেশিরভাগই এখনো কংগ্রেসের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন। এ কারণে তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ বা আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, তার পরবর্তী লক্ষ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশ।

ট্রাম্প অভিযোগ করেন, এই দেশগুলোর সঙ্গে বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'তারা (ইইউ) আমাদের গাড়ি কেনে না, কৃষিপণ্য কেনে না, বলতে গেলে তারা আমাদের কাছ থেকে কিছু কেনে না, কিন্তু আমরা তাদের সব পণ্য আমদানি করি। লাখো গাড়ি, বিপুল পরিমাণ খাদ্যসামগ্রী ও কৃষিজাত পণ্য কেনা হয় ইইউ থেকে।'

তিনি আরও উল্লেখ করেন, 'যুক্তরাজ্যও সঠিক পথে নেই। তবে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।'

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প জানান, 'আমাদের নিয়মিত কথা হয়।'

অপরিদকে সেফকোভিচ জানান, পণ্য ও সেবা মিলিয়ে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ইউরো বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্র-ইইউর বার্ষিক দেড় ট্রিলিয়ন ইউরো বাণিজ্যের প্রায় তিন শতাংশ।

তবে উভয় পক্ষে ৪০ লাখ মানুষের চাকরি ইইউ-মার্কিন বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল।

'আমরা বিশ্বাস করি, গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে আমরা সব সমস্যার সমাধান করতে পারব', যোগ করেন সেফকোভিচ।

Comments

The Daily Star  | English

Wrap up polls preparations by December

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday ordered the authorities concerned to complete, by December, the preparations for the upcoming national election.

7h ago