নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোন কলে বাইডেনের কড়া বার্তা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ফোনে কথা বলেছেন। এই ফোন কলে অস্বাভাবিক 'কড়া শব্দ' ব্যবহার করেছেন বাইডেন বলে মত প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা।
আজ বৃহস্পতিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
২১ আগস্টের পর এবারই প্রথম ফোনে কথা বললেন দুই নেতা। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিবের দৈনিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ফোন কলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বাইডেনের সঙ্গে এই কলে যোগ দেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
দুই মিত্র দেশের নেতা সর্বশেষ জুলাই মাসে সশরীরে দেখা করেছিলেন।
কলে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তার একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস।
বিবৃতি মতে, ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাইডেন এবং ইরানের হামলার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। তবে সম্ভাব্য ইসরায়েলি পাল্টা হামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কী না, তা উল্লেখ করা হয়নি।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে নেতানিয়াহু বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন। সঙ্গে তার উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে এই আলোচনার সুর কেমন ছিল, তা উল্লেখ করা হয়নি।
জানা গেছে, ফোন কলে বাইডেন আবারও গাজায় যুদ্ধবিরতি চালুর বিষয়টির ওপর জোর দেন।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বাইডেনের কাছ থেকে আসা একটি কড়া বার্তা বিশ্লেষকদের নজর কেড়েছে। বাইডেন গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং গাজার উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে জর্ডানের যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের বিষয়টিকে 'অত্যন্ত জরুরি' বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, এই করিডর 'তাৎক্ষণিকভাবে' চালু করতে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, গতানুগতিক এই ফোন কলে এ ধরনের কড়া ভাষার ব্যবহার খুবই চমকপ্রদ এবং প্রথাগত নয়।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নিজেদের সুরক্ষা দেওয়ার অধিকারের বিষয়টিতে সমর্থন জানিয়েছেন। তবে তিনি একইসঙ্গে বেসামরিক ব্যক্তিদের ক্ষয়ক্ষতি ন্যুনতম পর্যায়ে রাখার ওপর জোর দেন। তিনি আলাদা করে বৈরুতের জনবহুল অঞ্চলগুলোর কথা উল্লেখ করেন।
তবে এই ফোন কলের আগে ও পরেও লেবানন-গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা অব্যাহত ছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, বাইডেনের অনুরোধে একেবারেই পাত্তা দেয়নি ইসরায়েল।
অপরদিকে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এর আগে এ আলোচনাকে 'সরাসরি' ও 'ফলপ্রসূ' বলে উল্লেখ করেন।
Comments