লেবাননে পেজার বিস্ফোরণ ইসরায়েলি গণহত্যা প্রচেষ্টার উদাহরণ: ইরান
লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে তিন হাজার মানুষ আহত ও নয় জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনাকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে গণহত্যা প্রচেষ্টার উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইরান।
আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক বিবৃতিতে বলেন, '(ইরান) জায়োনিস্ট রাষ্ট্রের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নিন্দা জানাচ্ছে। এটি গণ হত্যা (প্রচেষ্টার) উদাহরণ।'
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ তাইওয়ানের এক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে পাঁচ হাজার পেজার অর্ডার করেছিল। উৎপাদনের সময়ই এগুলোতে তিন গ্রাম করে বিস্ফোরক ও একটি বোর্ড যুক্ত করে দেয় ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে লুকিয়ে রাখা বিস্ফোরক উপকরণে কোড পাঠিয়ে সক্রিয় করা হয়। এরপর 'বিপ' শব্দ করে বিস্ফোরিত হয় পেজারগুলো।
লেবাননের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, হিজবুল্লাহ তাইওয়ান ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গোল্ড অ্যাপোলোর কাছ থেকে পাঁচ হাজার 'বিপার' (পেজার) অর্ডার করেছিল। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এগুলো এ বছরের শুরুতে লেবাননে এসে পৌঁছায়।
তবে ইতোমধ্যে তাইওয়ানের সেই প্রতিষ্ঠান দাবি করেছে, তারা এই পেজারগুলো নির্মাণ করেনা। একটি ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানে এগুলো তৈরি হয়। গোল্ড অ্যাপোলো সেই ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করে থাকে।
নিরাপত্তা সূত্র জানান, এই পেজারগুলো এপ৯২৪ মডেলের। অন্যান্য পেজারের মতো, এই ওয়্যারলেস ডিভাইসগুলো একে অপরকে টেক্সট মেসেজ পাঠাতে পারে।
তবে এগুলো দিয়ে ফোন করা যায় না। স্মার্টফোন ও মোবাইল ফোন বাজারে আসার আগে কিছু সময়ের জন্য পেজার খুব জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হোত।
হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা ইসরায়েলি নজরদারি এড়াতে পেজারের মতো পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহার করছিলেন বলে জানা গেছে।
Comments