যুদ্ধবিরতিতে হামাস-ইসরায়েলের ৯০ শতাংশ মতৈক্য: ব্লিঙ্কেন

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। ছবি: রয়টার্স

নভেম্বরে সর্বশেষ সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির পর থেকেই কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে পরবর্তী পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলমান থাকলেও আজও বিষয়টি নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষই। তবে আজ এ বিষয়ে সুসংবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দাবি, চুক্তির ৯০ শতাংশ বিষয়ে দুইপক্ষ একমত হয়েছে।

ব্লিঙ্কেন জানান, 'এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে পূর্ণ মতৈক্যে পৌঁছানোর পুরো দায় ইসরায়েল ও হামাসের।'

ব্লিঙ্কেন দুই পক্ষকে অনুরোধ করেছেন, তারা যেন বাকি ১০ শতাংশ মতৈক্যে পৌঁছায় ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করে।

'৯০ শতাংশ মতৈক্য হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হওয়া বাকি আছে', যোগ করেন ব্লিঙ্কেন।

তার যুক্তি, 'এটা এখন ইসরায়েল ও হামাসের দায়িত্ব। মতৈক্যে পৌঁছানো, লড়াই বন্ধ করা ও বন্দিদের মুক্তি দেয়া।'

ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, 'যেসব বিষয়ের এখনো ফয়সালা হয়নি, তার মধ্যে আছে ফিলাডেলফি করিডোর, যা গাজা উপত্যকা ও মিসরের সীমান্তে পড়ে। তাছাড়া কীভাবে ইসরায়েলি জিম্মি ও ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিরা মুক্তি পাবেন, সেটা নিয়েও মতভেদ রয়েছে।'

গাজার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ছবি: DW
গাজার পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ছবি: DW

'আমি আশা করছি, মধ্যস্থতাকারী মিসর ও কাতার আমাদের চিন্তাভাবনার কথা হামাসকে জানাবে। আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কথা বলব। তারপর আমরাও দেখব, কেমন করে বাকি বিষয়গুলি নিয়ে একমত হওয়া যায়', যোগ করেন অভিজ্ঞ কূটনীতিবিদ ব্লিঙ্কেন।

অপরদিকে, মার্কিন নিউজ চ্যানেল ফক্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'এখনও চুক্তি হওয়ার মতো অবস্থা আসেনি।'

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই সংঘাতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩-এর ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে এক হাজার দুইশ মানুষকে হত্যা করে, ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। ইসরায়েলি পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৪০ হাজার আটশ মানুষ মারা গেছেন বলে হামাস জানিয়েছে।

হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি-সহ বেশ কয়েকটি দেশ।

ইসরায়েল যাচ্ছেন বেয়ারবক

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক। ছবি: রয়টার্স
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক। ছবি: রয়টার্স

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক শুক্রবার ইসরায়েলে যাচ্ছেন। তিনি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরেও যাবেন।

বৃহস্পতিবার বেয়ারবক তার মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন। শুরুতে তিনি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গেছেন।

ডয়চে ভেলের সাংবাদিক নিনা হ্যাসে কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, বেয়ারবক সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, 'ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নিজেদের এলাকা বজায় রেখে "টু স্টেট" সমাধানের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।'

এরপর জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্ডান যান। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন, গাজায় মানবিক সাহায্যের জন্য জার্মানি বাড়তি পাঁচ কোটি ইউরো দেবে। তিনি জর্ডানকেও বাড়তি এক কোটি ২৭ লাখ ইউরো দেয়ার কথা জানিয়েছেন।

এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ

Comments

The Daily Star  | English

What's causing the unrest among factory workers?

Kalpona Akter, labour rights activist and president of Bangladesh Garment and Industrial Workers Federation, talks to Monorom Polok of The Daily Star about the recent ready-made garments (RMG) workers’ unrest.

8h ago