গাজায় পোলিও টিকাদান কর্মসূচি শুরু, যুদ্ধে 'মানবিক বিরতি'
গাজা উপত্যকায় পোলিও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ বড় আকারে এই কর্মসূচি পরিচালনার জন্য গাজায় চলমান সংঘাতে 'মানবিক বিরতির' ঘোষণা দিয়েছে।
আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
গত মাসে প্রায় ২৫ বছর পর প্রথমবারের মতো গাজায় পোলিও রোগী শনাক্তের পর এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ।
আজ রোববার থেকে গাজার মধ্যাঞ্চলের তিন স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল গাজার দক্ষিণে অনানুষ্ঠানিকভাবে অজ্ঞাত সংখ্যক শিশুকে এই টিকা দেওয়া হয়েছিল।
কেন্দ্রগুলোতে এক দিন থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুরা টিকার ডোজ নিতে আসেন। এ সময় শিশুদের মাথার ওপর দিয়ে ক্রমাগত ড্রোন উড়ে যাচ্ছিল বলে জানান গাজার মধ্যাঞ্চলের আল-আওদা হাসপাতালের মেডিকেল পরিচালক ইয়াসের শাবানে।
ইয়াসের বলেন, 'গাজার মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে অসংখ্য ড্রোন উড়ছে। আমরা আশা করব শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সময় পরিস্থিতি শান্ত থাকবে।'
আজ স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ১ সেপ্টেম্বর থেকে গাজা উপত্যকাজুড়ে প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।
প্রতিবেদন মতে, তিন দিনে তিন ধাপে গাজার তিনটি অংশে এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। এ সময়কালে ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা যুদ্ধ বন্ধ থাকবে।
এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে ইতোমধ্যে গাজায় ১২ কোটি ৬০ লাখ ডোজ পোলিও টিকা পৌঁছেছে। আনা হবে আরও চার লাখ ডোজ টিকা।
তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেন, এই মানবিক বিরতির সঙ্গে গাজায় সার্বিকভাবে যুদ্ধে বিরতি দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
এই কর্মসূচির আওতায় গাজার অন্তত ৯০ শতাংশ শিশুকে প্রথম ডোজের দুই ফোটা ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকাদানকেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে আছে হাসপাতাল, ছোটখাটো স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্কুল। গাজার মধ্যাঞ্চলে ৬৭, দক্ষিণ গাজায় ৫৯ ও উত্তর গাজায় ৩৩ কেন্দ্র থেকে এই টিকা দেওয়া হবে।
প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে।
Comments