প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কাছে সামান্য গাঁজা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা অন্যায়: ট্রাম্প

পেনসিলভ্যানিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গানের তালে নেচে ওঠেন ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স (৩০ আগস্ট, ২০২৪)
পেনসিলভ্যানিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার সময় গানের তালে নেচে ওঠেন ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স (৩০ আগস্ট, ২০২৪)

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে গাঁজা সেবনকে বৈধতা দিতে পারেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেরকমই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সামান্য গাঁজা বহন করার দায়ে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে গ্রেপ্তারের বিপক্ষেও মত দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। 

আজ রোববার বার্তাসংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে পোস্ট করে ফ্লোরিডার বাসিন্দা ট্রাম্প বলেন, 'এই উদ্যোগ সবার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু এটা হতে যাচ্ছে।'

বেশিরভাগ মার্কিনী বিনোদনের জন্য গাঁজা সেবনকে বৈধতা দেওয়ার পক্ষে। ইতোমধ্যে দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ এমন সব অঙ্গরাজ্যে বসবাস করেন, যেখানে ব্যক্তিগত ব্যবহার বা নিদেনপক্ষে চিকিৎসার জন্য গাঁজা সেবনে বাধা নেই।

গাঁজা গাছের পরিচর্যা চলছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স
গাঁজা গাছের পরিচর্যা চলছে। ফাইল ছবি: রয়টার্স

জনমত জরিপে জানা গেছে, এটি বেশ জনপ্রিয় দাবি, বিশেষত, তরুণদের মধ্যে। বাইডেনের বদলে দৃশ্যপটে কমলা হ্যারিস আসার পর থেকেই তরুণ-তরুণীদের একটি বড় অংশ তার দিকে ঝুঁকেছেন। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই অঙ্গীকার তরুণ ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের কৌশল হতে পারে।

নভেম্বরে গাঁজাকে বৈধতা দেওয়া নিয়ে ফ্লোরিডায় গণভোটের আয়োজন করা হবে। একই মাসেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ভোট দেবেন ফ্লোরিডার জনগণ। 

বর্তমান গভর্নর রন ডি স্যান্টিস ও অঙ্গরাজ্যের অন্য কয়েকজন রিপাবলিকান প্রতিনিধি এই উদ্যোগকে সমর্থন করেন না।

ডি স্যান্টিস আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ ধরনের উদ্যোগে ফ্লোরিডার পরিস্থিতি সানফ্রানসিসকো বা শিকাগোর মতো হয়ে যেতে পারে। 

ট্রাম্প এ বিষয়টিকে 'ন্যায্য' দাবি হিসেবে উল্লেখ করে এতে সমর্থন জানান।

'অন্যান্য অঙ্গরাজ্যে যে বিষয়টি বৈধ, সেটার জন্য ফ্লোরিডায় আপনি একজনকে অপরাধী বানাতে পারেন না', যোগ করেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, 'কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের কাছে যদি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সামান্য পরিমাণ গাঁজা থাকে, সেটার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করে করদাতাদের ডলার নষ্ট করা আর তার জীবনকে ধ্বংস করা অন্যায়।'

তবে জনসম্মুখে গাঁজা সেবনের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়নেরও দাবি জানান ট্রাম্প। 'আমরা চাই না (ফ্লোরিডার) সব এলাকা গাঁজার গন্ধে ভরে উঠুক, যেটা ডেমোক্র্যাটদের অধীনে থাকা অনেক শহরে দেখা যায়।'

ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে খাঁটি গাজার নমুনা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে খাঁটি গাজার নমুনা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণা চালানোর সময়ও গাঁজা প্রসঙ্গে নমনীয় ছিলেন ট্রাম্প। তিনি জানান, এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ওপর ছেড়ে দেবেন।

তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আর এ বিষয়ে তেমন কিছু বলেননি তিনি।

বারাক ওবামার ডেমোক্র্যাট প্রশাসনও গাঁজা প্রসঙ্গে নমনীয় ছিল। তবে ২০১৮ সালে স্থানী কৌঁসুলিরা এ বিষয়ে কঠোর মনোভাব দেখাতে শুরু করেন এবং গাঁজা উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি, বিক্রি ও সাথে রাখের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নীতিমালা তৈরি করেন। তবে বেশিরভাগ কৌঁসুলি এটি বাস্তবায়নে শিথিলতা দেখান।

 

Comments

The Daily Star  | English

Over 102,000 annual deaths in Bangladesh linked to air pollution

Study also finds air pollution behind 266 million sick days every year hurting the economy

1h ago